নাটোরে কনস্টেবল নিয়োগে ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রযুক্তির ব্যবহার

দেশের মধ্যে এবারই প্রথম নাটোরে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে পরীক্ষার্থী বা পরীক্ষার্থীর ছবি পরিবর্তন করে প্রতারণা করার সুযোগ পাবেন না পরীক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে আর্থিক অনিয়মসহ যেকোনো অনিয়মের ব্যাপারে তথ্য জানাতে দুটি হটলাইন চালু করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার নাটোর পুলিশ লাইন মাঠে কনস্টেবল নিয়োগের বাছাই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের পর্যবেক্ষণের জন্য পরীক্ষাকেন্দ্রের আকাশে ড্রোন ক্যামেরা উড়তে দেখা গেছে।

নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা শতভাগ স্বচ্ছ করতে তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা সচেষ্ট। এ কারণে দেশে প্রথমবারের মতো নাটোরে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীদের আঙুলের ছাপ ধারণ করা হচ্ছে। এর ফলে পরীক্ষার্থী বা পরীক্ষার্থীর ছবি পরিবর্তন করে প্রতারণা করার সুযোগ পাওয়া যাবে না। এ ছাড়া কোনো পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাঁকে তাৎক্ষণিক বাতিল হিসেবে গণ্য করা হবে। আগেই পুলিশ অফিস থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে নিয়োগের জন্য কারও সঙ্গে আর্থিক লেনদেন না করতে। যেকোনো পর্যায়ে এ ধরনের তথ্য জানা গেলে তাঁকে বাদ দেওয়া হবে। পরীক্ষায় যোগ্য প্রমাণিত হলে তাঁকে শুধু ১০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।

এসপি বলেন, নিয়োগের সময় যেকোনো অনিয়মের ব্যাপারে তথ্য জানাতে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের মুঠোফোন নম্বর হটলাইন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

এদিকে, গতকাল নাটোর পুলিশ লাইন মাঠে নিয়োগ পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থী ও তাঁদের স্বজনদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য মাঠের ওপরে ড্রোন ক্যামেরা চালু রাখা ছিল। পরীক্ষায় কোনো ধরনের অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি।