'বাজেটের জন্য জনস্বার্থ কি থমকে থাকবে?'

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন ছাড়া ঢাকায় যারা প্যাকেটজাত তরল দুধের ব্যবসা করছে, তাদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে এই তালিকা দিতে হবে। আজ রোববার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালত বলেন, বিএসটিআই জানিয়েছে, তারা ১৮টি ফার্মকে অনুমোদন দিয়েছে। অন্যদিকে, অধ্যাপক শাহ নীলা ফেরদৌসীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকায় ৩১টি প্রতিষ্ঠান তরল দুধের ব্যবসা করছে। দেখা যাচ্ছে, অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে। তারা কী করছে, তাদের নামের তালিকা দিতে হবে। একইসঙ্গে বিএসটিআইয়ের কাছে দইয়ের ৩০৫টি নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন চেয়েছেন আদালত।

এ ব্যাপারে পরবর্তী আদেশের জন্য ১৫ জুলাই দিন ধার্য রেখেছেন আদালত।

আদালতে বিএসটিআইয়ের আইনজীবী বলেন, বিএসটিআই ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে প্যাকেটজাত তরল দুধ বাজারজাত করার অনুমোদন দিয়েছে। বাকিগুলো বিএসটিআইয়ের আওতাধীন নয়। কিন্তু আদালত বাকিগুলোর ব্যাপারে বিএসটিআইকে প্রতিবেদন দিতে বললে আইনজীবী প্রতিষ্ঠানটির বাজেট ও লোকবল সংকটের কথা তুলে ধরেন। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, বাজেটের জন্য কি জনস্বার্থের বিষয়টি থমকে থাকবে? অন্যরা যাঁরা বিক্রি করছেন, তাঁদেরটা দেখতে পারবেন না?

আদালতে বিএসটিআইয়ের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সরকার এম আর হাসান। আদালতে বক্তব্য তুলে ধরেন অধ্যাপক শাহ নীলা ফেরদৌসী, বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক নুরুল ইসলাম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহমুদ প্রমুখ।