এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় রূপায়ণের চেয়ারম্যানের জামিন

বনানীর এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ফাইল ছবি
বনানীর এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ফাইল ছবি

রাজধানীর বনানীতে এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলার আসামি রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল জামিন পেয়েছেন। আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী জামিন মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্র বলছে, এ মামলার এজাহারে নাম থাকা আসামি রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।

আসামিপক্ষ থেকে আদালতের কাছে দাবি করা হয়, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত নির্দোষ। বিল্ডিং কোড মেনে ভবন তৈরি করা হয়। এফ আর টাওয়ারের আগুনের ঘটনার সঙ্গে আসামি জড়িত না। তিনি ঘটনার শিকার। আসামি বয়োবৃদ্ধ মানুষ। এজাহারে নাম থাকা অন্য আসামিরা জামিনে আছেন। আসামি জামিন পাওয়ার হকদার। আসামির বিরুদ্ধে আনা দণ্ডবিধির ৪৩৬ ধারার অভিযোগ সুনির্দিষ্ট নয়।

এর আগে গত ৬ মে এই মামলায় ঢাকার আদালত থেকে জামিন পান জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুক। আর গত ১১ এপ্রিল জামিন পান বিএনপি নেতা তাসভীর-উল ইসলাম।

বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হন দুই মালিক এস এম এইচ আই ফারুক ও তাসভীর-উল ইসলাম। গত ৩১ মার্চ বনানীর আগুনের ঘটনায় এস এম এইচ আই ফারুক ও তাসভীর-উল ইসলামকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত ওই আদেশ দেন।

এস এম এইচ আই ফারুক (৬৫) এফ আর টাওয়ারের জমির মালিক। আর তাসভীর-উল ইসলাম এফ আর টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক।

আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে বলা হয়, গত ২৮ মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় ২৬ জন নিহত হন। শতাধিক লোক আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

বনানীর আগুনে হতাহত হওয়ার ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করে পুলিশ। মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামি হলেন প্রকৌশলী ফারুক হোসেন, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল ও বিএনপি নেতা তাসভীর-উল ইসলাম।