সুনামগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা মামলায় আ. লীগ নেতা কারাগারে

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শামীম আহমেদ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনের পৃথক দুটি মামলায় তিনি আজ রোববার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সুনামগঞ্জের ছাতক পৌর শহরে গত ১৪ মে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী এবং তাঁর ছোট ভাই শামীম আহমেদ চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সুরমা নদীতে নৌযান থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সাহাব উদ্দিন নামের এক ভ্যানচালক নিহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশসহ আহত হন আরও ৪০ জন। সংঘর্ষের পর পুলিশের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শামীম আহমেদ চৌধুরীসহ তাঁর পাঁচ ভাইয়ের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে জেলা প্রশাসন।

ওই সংঘর্ষের পর পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করে। ভ্যানচালকের স্ত্রী বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এই তিন মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩০০ জনকে। আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহমেদ চৌধুরী পুলিশের করা দুই মামলার আসামি। এসব মামলায় শামীম আহমেদ চৌধুরী আজ সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করেন।

সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খায়রুল কবির রুমেন আওয়ামী লীগ নেতা শামীমকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শামীম উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ তিনি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন।