কুষ্টিয়ায় মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মাদক মামলায় জিয়াউর রহমান (৪৫) নামের এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এ রায় দেন।

একই মামলায় অপর দুজনকে ৫ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জিয়াউরের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা চামনায় গ্রামে। ৫ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন একই গ্রামের আবদুর রাজ্জাক (৩৫) ও সোনাইকুন্ডি গ্রামের সাজ্জাদ মন্ডল (৪৮)।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর দুপুরে কুষ্টিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল দৌলতপুর উপজেলার চামনায় গ্রামে আবদুল রাজ্জাকের বাড়িতে অভিযান চালায়। জিয়াউর ও সাজ্জাদ মন্ডলকে ৫০ গ্রাম হেরোইনসহ আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তৎকালীন পরিদর্শক তারেক মাহমুদ বাদী হয়ে মামলা করে দৌলতপুর থানায় সোপর্দ করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

শিশু হত্যায় দুই তরুণের কারাদণ্ড
কুমারখালীর শিশু মিজানুর রহমান (১৩) হত্যা মামলায় দুই তরুণকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন।

শিশু হত্যায় দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুমারখালী উপজেলার দুর্গাপুর কাজীপাড়া গ্রামের আলম কাজী ওরফে আশরাফুল (২০) এবং আগ্রাকুন্ডা গ্রামের ছালাম (২১)।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৯ আগস্ট বিকেলে শিশু মিজানুর রহমান তাঁত কারখানায় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্গাপুর জামে মসজিদের কাছে খুন হয়। এ ঘটনায় তার বাবা আবু তালেব বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।