আক্কেলপুরে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যৌন নিপীড়নের অভিযোগে করা মামলায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার কাশিড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলালউজ্জামান ওরফে আলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে নিজের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাঁর কলেজপড়ুয়া মেয়েকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে গতকাল রাতে আলালউজ্জামানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ তাঁকে রাতেই গ্রেপ্তার করে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক আলালউজ্জামান কিছুদিন আগে ওই ছাত্রীর মুঠোফোনে কল ও খুদে বার্তা পাঠিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেন। মেয়েটি তাঁর প্রস্তাবে রাজি হননি। তখন আলালউজ্জামান মেয়েটির ছবি ও খারাপ কথা লিখে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন। মেয়েটি তাঁর বাবাকে বিষয়টি জানান। পরে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা কাশিড়া উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এতে শিক্ষক আলালউজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটির বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করেন এবং গত ২২ মে বিকেলে মেয়েটিকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানি করেন।

এসব ঘটনার পর ১৮ জুন অভিযুক্ত শিক্ষক ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে মেয়েটির নামে খারাপ কথা লিখে পোস্ট করেন। এসব ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে একটি বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে অভিযুক্ত শিক্ষক আলাল তাঁর নিজের দোষ স্বীকার করেন। তবে বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি। এরপর গতকাল শনিবার রাতে মেয়েটির বাবা আলালউজ্জামানের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

কাশিড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিপ্লব সাখিদার বলেন, এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিক্ষক গ্রেপ্তার হয়েছেন। তারপরও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযুক্ত শিক্ষক আলালউজ্জামানের বাবা আবদুল মজিদ মোল্লা দাবি করেন, ‘আমার ছেলে ষড়যন্ত্রের শিকার। সে বৈঠকে ভয়ে নিজের দোষ স্বীকার করেছে।’

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কিরণ কুমার রায় বলেন, কাশিড়া উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলালউজ্জামানকে যৌন নিপীড়নের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।