বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তে যাত্রী চলাচলের সময় বাড়ানোর দাবি

কলকাতায় গতকাল এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ক্যালকাটা কাস্টমস হাউস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। ছবি: সংগৃহীত
কলকাতায় গতকাল এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ক্যালকাটা কাস্টমস হাউস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। ছবি: সংগৃহীত

যাত্রীদের সুবিধায় বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত খোলা রাখার সময় বাড়ানোর দাবি তুলেছেন বাংলাদেশের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই দাবি তোলেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেন, যেভাবে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ বেড়ে চলেছে তাতে করে এই দুই দেশের সবচেয়ে বড় স্থল বন্দর বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত যাত্রী সাধারণের জন্য খোলা রাখার সময় বাড়ানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে তা বাড়িয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত করার দাবি করেছেন তাঁরা ।

কলকাতায় গতকাল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ক্যালকাটা কাস্টমস হাউস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। কলকাতার স্বভূমির একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে কর্মরত প্রথম সচিব (বাণিজ্য) মো. সাইফুল ইসলামকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তিনি সম্প্রতি বদলি হয়েছেন।


বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিও বেড়েছে। পাশাপাশি ভারতও প্রচুর পণ্য রপ্তানি করছে বাংলাদেশে। আর উভয় দেশের এই আমদানি-রপ্তানি সব থেকে বেশি হয়ে থাকে বেনাপোল-পেট্রোপোল সীমান্ত পথে। ফলে এই আন্তর্জাতিক সীমান্ত পথে প্রতিদিন উভয় দেশের প্রচুর মানুষ যাতায়াত করছেন। এই সীমান্ত প্রতিদিন ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ৬ টায় খোলে আর বন্ধ হয় সন্ধ্যা ৬ টায়। তাই এই আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম’এর সঙ্গে যাত্রী যাতায়াতের সময় বাড়ানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা।

ব্যবসায়ীরা এ কথাও বলেছেন, গত বছরই এই বেনাপোল-পেট্রোপোল সীমান্ত পথে ২৩ লাখ যাত্রী চলাচল করেছে । সীমান্তের বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সীমান্তের অবকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি যাত্রীদের যাতায়াতের সমস্যা দূর করা এবং যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ানোরও আশু প্রয়োজন।
এই প্রতিনিধিরা এ কথাও বলেছেন, ২০২০ সাল থেকে ভারত স্থলপথে মংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এই লক্ষ্যে ভৈরব নদীতে রেল সেতু এবং পাশাপাশি রেল লাইন নির্মাণ চলছে। এই রেল সেতু নির্মাণ হলে নেপাল ও ভুটানও এই স্থল বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এতে করে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত এবং নেপাল ও ভুটানের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।

এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আখতার হোসেন, ঢাকার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ মহম্মদ ফরিদ, বেনাপোল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজল, মংলা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুলতান আহমেদ , ইন্দোবাংলা চেম্বার অব কমার্সের ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান প্রমুখ। আরও ছিলেন ছিলেন আয়োজক সংস্থা ক্যালকাটা কাস্টমস হাউজ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজু গোস্বামী , ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের পরিচালক আর এল নরসিমাহ প্রমুখ। আরও ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের প্রথম সচিব বাণিজ্য মো.সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।