'বিসিএসে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ব্রুনেইয়ের জনসংখ্যার বেশি'

ইকোনমিকস স্টাডি সেন্টার ও ইএমকে সেন্টার আয়োজিত পিপল’স ডিবেট শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা। ছবি: প্রথম আলো
ইকোনমিকস স্টাডি সেন্টার ও ইএমকে সেন্টার আয়োজিত পিপল’স ডিবেট শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা। ছবি: প্রথম আলো

বর্তমানে দেশের ৪৭ শতাংশ স্নাতক পাস তরুণ-তরুণী বেকার। সর্বশেষ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষার প্রাথমিক পর্যায়ের প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ব্রুনেইয়ের জনসংখ্যার থেকে বেশি।

আজ রোববার ইকোনমিকস স্টাডি সেন্টার ও ইএমকে সেন্টার আয়োজিত পিপল’স ডিবেট শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। পিপল’স ডিবেটের এবারের আলোচনার শিরোনাম ছিল ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মহামারি বেকারত্বের কারণ’।

রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে আয়োজিত সভা সঞ্চালনা করেন ইউএন ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের প্রকল্প কর্মকর্তা গালিব ইবন আনোয়ারুল আযিম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক এম আবু ইউসুফ, ইএমকে সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আসিফ উদ্দিন আহমেদ, রহিমআফরোজের (বাংলাদেশ) চিফ পিপল অ্যান্ড বিজনেস পারফরম্যান্স অফিসার আরিফ শাহরিয়ার ও সিঙ্গুলারিটি লিমিটেডের সহপ্রতিষ্ঠাতা যাফির শাফীঈ চৌধুরী।

চারজন আলোচক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পর শিক্ষার্থীদের বেকারত্বের পেছনের চারটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনার শুরুতেই গালিব ইবন আনোয়ারুল আযিম বাংলাদেশের বেকারত্বের চিত্র তুলে ধরেন।

আরিফ শাহরিয়ার বলেন, তাঁরা যথেষ্ট যোগ্য প্রার্থী পাচ্ছেন না। যদিও দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তিনি আরও বলেন, শুরুর দিকে মূল সমস্যা হচ্ছে, চাকরিপ্রার্থীরা যথাযথ যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। মধ্যম পর্যায়ে চাকরিজীবীরা নিজেদের উন্নতি ঘটাতে আগ্রহী নন। তাঁরা চাকরিতে প্রবেশ করার পর নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করেন না। এ জন্য তাঁরা পিছিয়ে পড়েন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মেধাবীরা বিদেশে চলে যাচ্ছেন, যার ফলে দেশে শূন্যতা সৃষ্টি হচ্ছে।