রাজশাহীতে ফুল দিতে এসে তাঁতী লীগের হাতাহাতি

দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুসহ চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া নিয়ে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী তাঁতী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। রাজশাহী, ২৩ জুন। ছবি: শহীদুল ইসলাম
দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুসহ চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া নিয়ে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী তাঁতী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। রাজশাহী, ২৩ জুন। ছবি: শহীদুল ইসলাম

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া নিয়ে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী তাঁতী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। রোববার সকাল সাড়ে দশটার দিকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ সময় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে তাঁতী লীগ নয় বলেও দাবি করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহীতে রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। প্রথমে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিতে থাকে। সকাল সাড়ে দশটার দিকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী তাঁতী লীগের ব্যানারে ফুল দেন রাজশাহী মহানগর তাঁতী লীগের সভাপতি আনিসুর রহমান ওরফে আনার ও সাধারণ সম্পাদক মকছেদুল আলম ওরফে সুমন। এরপর নগরের ষষ্ঠীতলা এলাকার রুপম ও রানা একই সংগঠনের ব্যানারে ফুল দেন। রুপম ও রানা তাঁতী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ফুল দেন। এ সময় প্রথম পক্ষ দ্বিতীয় পক্ষের ফুলের ডালা ফেলে দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ও হাতাহাতি শুরু হয়। পরে ডাবলু সরকার এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোকছেদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের কমিটি কেন্দ্র থেকে অনুমোদিত ও বৈধ। তিনি বলেন, তাঁদের কমিটির ব্যানারে রূপম ও রানা ফুল দিতে এসেছিলেন। এতে তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন ও বাধা দিয়েছেন।

এ সময় মোকছেদুল দাবি করেন, প্রজন্ম লীগ করার সময় চাঁদাবাজির অভিযোগে রানা ও রুপমের কমিটি বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, রানা ও রূপম দলের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য রুপম ও রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। রূপমের মুঠোফোনে চেষ্টা করে সেটা বন্ধ পাওয়া গেছে।

কারা আসল তাঁতী লীগ এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাবলু সরকার বলেন, আনিসুর রহমান ও মকছেদুল আলম কমিটিই বৈধ। রূপম ও রানার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।