নেত্রকোনায় পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শ্রমিক হত্যা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় রোববার বিকেলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. শফিকুল ইসলাম (৩৩)। তিনি পূর্বধলার বাঘড়া গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শফিকুল পূর্বধলার বৌলাম শাহ সুলতান অটো রাইস মিলে কাজ করতেন। তাঁর সহকর্মী রনি মিয়া (৩২)। শফিকুল ও রনি শনিবার সন্ধ্যার দিকে মিলের কাজ শেষে হাত-পা ধুতে যান। এ সময় প্রাকৃতিক বাতাসে হঠাৎ শরিফুলের পরনের লুঙ্গি ওপরে উঠে যায়। এতে রনি হাসতে হাসতে চাতাল কলের বাতাসের যন্ত্র ছেড়ে দেন। একপর্যায়ে খামখেয়ালিভাবে যন্ত্রের নলটি শফিকুলের পায়ুপথে ঢুকিয়ে দেন। এতে শফিকুলের পেটের ভেতরে বাতাস ঢুকে পড়লে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে তিনটার দিকে শফিকুল মারা যান। এ ঘটনার পর লাশ স্বজনেরা বাড়িতে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ রোববার বিকেল চারটার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার পর থেকে রনি মিয়া পলাতক আছেন। রনির ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। মিলের মালিক লাল মিয়ার মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

পূর্বধলা থানার শ্যামগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘শফিকুলের লাশ উদ্ধার করে মর্গে নেওয়া হয়েছে। রনিকে আটকের চেষ্টা চলছে।’

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাওহীদুর রহমান রোববার রাত পৌনে নয়টার দিকে বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়নি। নিহতে শফিকুলের পরিবারের লোকজন মামলা করতে চাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’