বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিস্ফোরণ, পদপ্রত্যাশীদের মারধর

ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধরা পরবর্তী কমিটির পদপ্রত্যাশীদের মারধর করেন। ছবি: সাজিদ হোসেন
ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধরা পরবর্তী কমিটির পদপ্রত্যাশীদের মারধর করেন। ছবি: সাজিদ হোসেন

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর নয়াপল্টনে বিএনপির অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে মারধরের শিকার হয়েছেন ছাত্রদলের কাউন্সিলের পক্ষে অবস্থান নেওয়া কয়েকজন পদপ্রত্যাশী।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির নেতাদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছিল। ছাত্রদলের এই নেতারা সম্প্রতি ঘোষিত নেতৃত্ব নির্বাচনের তফসিল বাতিলে আন্দোলন করছেন।

বেলা দেড়টার দিকে কর্মসূচি শেষ করে নয়াপল্টন থেকে নাইটিঙ্গেল মোড়ের দিকে যাওয়ার সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা জানা যায়নি। এ ছাড়া ছাত্রদলের পদপ্রত্যাশীদের কয়েকজন কার্যালয় থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীরা তাঁদের মারধর করেন। আজকের মতো অবস্থান কর্মসূচি শেষ করে আগামীকাল মঙ্গলবার আবারও অবস্থানের ঘোষণা দেন বিক্ষুব্ধরা।

ছাত্রদলের একাংশের কর্মসূচি শেষ হলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। ছবি: সাজিদ হোসেন
ছাত্রদলের একাংশের কর্মসূচি শেষ হলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। ছবি: সাজিদ হোসেন

বিক্ষুব্ধরা চলে যাওয়ার পর ছাত্রদলের কাউন্সিলকে স্বাগত জানিয়ে নয়াপল্টনে আবারও পদপ্রত্যাশীরা মিছিল বের করেন। তাঁরা সকালেও একবার মিছিল করেন।

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি ও কাউন্সিলের ঘোষিত তারিখ মানেন না জানিয়ে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলেন বিএনপির ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। তাঁরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিদ্যুতের সংযোগও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তাঁরা কাউকে কার্যালয়ে ঢুকতে দেননি। বিক্ষুব্ধরা চলে যাওয়ার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।

নয়াপল্টনে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। ছবি: সাজিদ হোসেন
নয়াপল্টনে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। ছবি: সাজিদ হোসেন

বিক্ষোভ চলাকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান করছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্রদলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের।

ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধরা পরবর্তী কমিটির পদপ্রত্যাশীদের মারধর করেন। ছবি: সাজিদ হোসেন
ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধরা পরবর্তী কমিটির পদপ্রত্যাশীদের মারধর করেন। ছবি: সাজিদ হোসেন

২২ জুন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাত্রদলের ১২ নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কাউন্সিলের ঘোষণা দেয় বিএনপি। এতে বলা হয়, আগামী ১৫ জুলাই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের কাউন্সিল। ওই দিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট হবে।

ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কাউকে ঢুকতে দেননি। ছবি: সাজিদ হোসেন
ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কাউকে ঢুকতে দেননি। ছবি: সাজিদ হোসেন

বিএনপি ৩ জুন ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি কাউন্সিলের মাধ্যমে সংগঠনটির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের ঘোষণা দেয়। এরপর থেকেই বিলুপ্ত কমিটির নেতারা বয়সসীমা না রেখে ধারাবাহিক কমিটি গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন।