জয়পুরহাটে হেরোইন রাখায় একজনের যাবজ্জীবন

জয়পুরহাটে এক কেজি হেরোইন উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় আদালত একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে জয়পুরহাটের বিশেষ আদালত এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. গোলাম সারোয়ার এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলার বাদালচান্দপুর গ্রামের আবদুল হামিদ (৪২)। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়েছিল। রায় ঘোষণার পর তাঁকে পুলিশ পাহারায় জয়পুরহাট কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি নওগাঁর ধামুইরহাট থেকে ঢাকাগামী সালমা এন্টারপ্রাইজ বাসে জয়পুরহাট- খনজনপুর সড়কে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের সামনে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তল্লাশি চালায় র‌্যাব। বাসে একটি নীল রঙের ব্যাগে রাখা চারটি পলিথিনে মোড়ানো এক কেজি হেরোইন উদ্ধার করে জয়পুরহাট র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-৫-এর সদস্যরা। এ ঘটনায় বাসযাত্রী আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। আবদুল হামিদকে আসামি করে জয়পুরহাট র‌্যাব-৫-এর নায়েক সুবেদার অলিয়ার রহমান বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন। জয়পুরহাট সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আসামি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্র নাথ মণ্ডল বলেন, বিচারক রায় ঘোষণার সময় বলেছেন যে বয়স ও হাজতবাস বিবেচনায় নিয়ে আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে।