ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি

তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আবারও কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। আজ সোমবার সকাল নয়টা থেকে পুরো কর্মদিবস প্রায় সব কর্মকর্তা কর্মবিরতি পালন করেন।

কর্মকর্তাদের তিন দফা দাবি হলো একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের সময়সীমা সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার পরিবর্তে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা, চাকরির বয়সসীমা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ বছরে উন্নীত করা এবং উপরেজিস্ট্রার ও সমমানের কর্মকর্তাদের বেতন স্কেল চতুর্থ গ্রেডে ৫০ হাজার এবং সহকারী রেজিস্ট্রার ও সমমানের কর্মকর্তাদের জন্য ষষ্ঠ গ্রেডে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে তিন দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছেন এই কর্মকর্তারা। কর্মবিরতি পালন, মৌন মিছিল, প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা। সর্বশেষ গত ৪ মার্চ কর্মবিরতি পালন করেন কর্মকর্তারা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত রাখা হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত দাবি আদায় না হওয়ায় আজ আবারও আন্দোলনে নামেন তাঁরা।

এদিকে কর্মকর্তাদের কর্মবিরতিতে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থীরা। ফাতেমা জান্নাত নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে নম্বরপত্র তুলতে এসেছিলাম পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে। কিন্তু তুলতে পারিনি।’

পরে দুপুর তিনটা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন কর্মকর্তা সমিতির নেতৃবৃন্দ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি শামসুল ইসলাম জোহা বলেন, ‘আমাদের দাবি মেনে নিতে প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি।’

উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাদের দাবির বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আগামী মাসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে নেওয়া হবে।’