সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ দিলেন বিজয়ী সিরাজ

গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ
গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ

শূন্য হওয়া বগুড়া-৬ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ (জিএম সিরাজ) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ধানের শীষ প্রতীকে সিরাজ ৮৯ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী টি জামান নিকেতা পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৯৭ ভোট। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর চেয়ে জিএম সিরাজ ৫৭ হাজার ৪৪৫ ভোট বেশি পেয়েছেন। আজ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ না নেওয়ায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৮। এর মধ্যে ভোট পড়েছে এক লাখ ৩৩ হাজার ৮৭০টি। ভোটার উপস্থিতি ছিল মোট ভোটের ৩৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ধানের শীষ ও নৌকা ছাড়াও জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুল ইসলাম ওমর লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ২৭১ ভোট। বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মনসুর রহমান ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫৬ ভোট। বাংলাদেশ মুসলিম লীগের রফিকুল ইসলাম হ্যারিকেন প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫৪ ভোট। আপেল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ মণ্ডল পেয়েছেন ২ হাজার ৯২০ ভোট। আর ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কবির আহমেদ পেয়েছেন ৬৩০ ভোট।

বেসরকারি ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ী হওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী জিএম সিরাজ বলেন, ভোটারদের কাছে ইভিএম নিয়ে ধারণা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ৩০ ডিসেম্বর প্রহসনের মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যাওয়া নির্বাচনী সংস্কৃতি বগুড়া-৬ নির্বাচনের মাধ্যমে ফিরে এসেছে। এর জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সদিচ্ছাকে সাধুবাদ জানাই।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাজোট সমর্থিত জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমরকে প্রায় দেড় লাখ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।