অপহরণের পর ধর্ষণে একজনের যাবজ্জীবন, ৪ জনের ১৪ বছর

ফেনীর সোনাগাজীতে এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) অপহরণের পর আটকে রেখে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা হয়েছে। চার ব্যক্তির ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা হয়েছে। মামলা রায়ে পাঁচজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এই রায় ঘোষণা করেন। জরিমানার অর্থ আইন অনুযায়ী আদায় করে ভুক্তভোগীকে দেওয়ার জন্য ফেনীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে সাগর। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম, মেজবাহ উদ্দিন, বায়েজিদ ফয়সাল ও রিয়াদ ওরফে রিয়াদ হোসেন। খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন বিবি কাউছার, আবু নাছের সোহাগ, ইকবাল হোসেন সুমন, আলাউদ্দিন আলো ও মো. মাসুদ। রায় ঘোষণার সময় তাঁরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি কৌঁসুলি হাফেজ আহম্মদ জানান, ২০১৩ সালের ২৫ মে সোনাগাজীর এক ছাত্রী (১৩) প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে স্কুলে যাচ্ছিল। এ সময় সাগরের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা আগে থেকেই রাস্তায় ওত পেতে ছিলেন। তাঁরা স্কুলছাত্রীকে টেনে-হিঁচড়ে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেন। অপহরণের তিন দিন পর বান্দরবানের একটি পাহাড়ের পরিত্যক্ত ঘর থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে সোনাগাজী থানা-পুলিশ। ওই ঘরে স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।

তদন্ত শেষে সোনাগাজী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার বড়ুয়া ২০১৩ সালের ১২ জুলাই সাগরসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করলেন আদালত।