টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্র হত্যা: পুলিশ সদস্যসহ সব আসামির বিচার দাবি

টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্র মো. সজিব মিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবলসহ সব আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তার স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার টাঙ্গাইল শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়।
টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্র মো. সজিব মিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবলসহ সব আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তার স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার টাঙ্গাইল শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়।

টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্র মো. সজিব মিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবলসহ সব আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তার স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার টাঙ্গাইল শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়।

মো. সজিব মিয়া সদর উপজেলার আয়নাপুর এ এম মডেল হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আজ সকালে ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা টাঙ্গাইল শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এ এম মডেল স্কুলের শিক্ষক মো. আসলাম মিয়া, মো. ফারুক মিয়া, পারুল বেগম, শিক্ষার্থী আমেনা আক্তার ও রুবেল মিয়া।

বক্তারা অভিযোগ করেন, পুলিশ সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়। আর পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেন স্কুলছাত্র সজিব মিয়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।

সজিব মিয়া ১৪ জুন বিকেলে সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের বাহির শিমুল গ্রামে নানার বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেলে করে বের হয়। এর পর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। ১৬ জুন দুপুরে কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় অজ্ঞাত এক তরুণের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই সজিবের মা জাহানারা বেগম লাশটি তার ছেলের বলে শনাক্ত করেন। পরের দিন জাহানারা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে কালিহাতী থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে কনস্টেবল মোশারফ হোসেন ও সজিব মিয়ার বন্ধু মো. সজিবের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। তাদের দুজনকে গত বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা দুজনই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। স্বীকারোক্তিতে তাঁরা বলেন, সজিব মিয়ার দূরসম্পর্কের চাচা মনিরুজ্জামানের প্ররোচনায় তাঁরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে পুলিশ মনিরুজ্জামানকেও গ্রেপ্তার করে।