ভোলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবি

ভোলা জেলা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন হচ্ছে। গঠনতন্ত্র অনুসারে চলমান কমিটি ও পদ বাতিল হওয়ার কথা থাকলেও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এ কমিটি বাতিল করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ‘তৃণমূল নেতা-কর্মী’-এর ব্যানারে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ। তাঁরা চলমান কমিটি বাতিল ও নতুন কমিটি গঠনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। দুপুর ১২টার দিকে শহরে তাঁরা বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন ভোলা জেলা ছাত্রলীগের ‘তৃণমূল নেতা-কর্মী’-এর আহ্বায়ক মো. তৈয়বুর রহমান। তৈয়বুর রহমান বলেন, ২০১৫ সালের ৯ মে সম্মেলনের মাধ্যমে ১ বছর মেয়াদি ছাত্রলীগের সংক্ষিপ্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির বয়স ৪ বছর অতিবাহিত হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়নি। মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও কমিটি বাতিল হয়নি। চলমান কমিটির ১০ জন নেতাই পদে আসার পর থেকে সাংগঠনিকভাবে চরম অদক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। নানা অপকর্ম করেছেন। তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, মাদক-সেবন ও মাদক বিক্রির অভিযোগ আছে। অনেকে আসামি হয়ে জেল খেটেছেন। তাঁরা প্রত্যেকে ব্যবসায়ী ও বিবাহিত।

লিখিত বক্তব্যে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন, তাঁদের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে বারবার ভোলার চলমান কমিটি বাতিলের জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা দিই-দিচ্ছি করে সময় ক্ষেপণ করছেন। বাধ্য হয়ে তাঁরা বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আনার জন্য আন্দোলনে নেমেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবিদুল আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, ভোলা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিফ মাহমুদ (মারসেল), জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী জাকারিয়া হোসেন অমি, বোরহানউদ্দিন পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নেওয়াজ শরীফ কুতুব, ভোলা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি খাইরুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম চৌধুরী চাঁদাবাজির মামলায় জেলে আছেন। সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মাহমুদকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা ধরেননি। জানা গেছে, রিয়াজ মাহমুদ বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তৈয়বুর রহমান ও যুগ্ম সম্পাদক আকবর হোসেন জানান, তাঁরা কর্মজীবনে চলে এসেছেন। সংসার সামলাচ্ছেন। তাই তাঁরাও ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিতে থাকতে চাচ্ছেন না। তাঁদেরও দাবি কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করা হোক।