জেন্ডার বাজেট বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তা নিরীক্ষণ হবে

‘জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেটের (২০১৯-২০) বাস্তবায়ন পর্যালোচনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ঢাকা। ছবি: প্রথম আলো
‘জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেটের (২০১৯-২০) বাস্তবায়ন পর্যালোচনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ঢাকা। ছবি: প্রথম আলো

নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে ৪৩টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে যুক্ত করে চলতি অর্থবছরে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যাকে অভিহিত করা হয়েছে জেন্ডার বাজেট নামে। বাজেটের এই বরাদ্দ যথাযথভাবে হচ্ছে কি না এবং তা নারীর ক্ষমতায়নে কী ভূমিকা রাখছে, সেটা নিরীক্ষণ পদ্ধতি চালুর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আনোয়ারা বেগম-মুনিরা খান মিলনায়তনে ‘জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেটের (২০১৯-২০) বাস্তবায়ন পর্যালোচনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এই সুপারিশ করেন। মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানমের সভাপতিত্বে সভায় জেন্ডার বাজেট বিষয়ে সরকারকে বিভিন্ন সুপারিশ দেওয়া হয়।

আয়েশা খানম বলেন, জেন্ডার বাজেটের পরবর্তী পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ এবং বাজেটের এই বরাদ্দ আদৌ নারীর জীবনে কী পরিবর্তন আনছে, তা পরিবীক্ষণ জরুরি। এই পরিবীক্ষণের জন্য তিনি জেন্ডার বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও নারী আন্দোলনের সমন্বয়ে একটি সেল চালুর পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো নাজনীন আহমেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা নারী-পুরুষের বৈষম্য নিরসনে জেন্ডার বিভাজিত তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহারের বিষয়ে জোর দেন। আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি, জাতিসংঘে সিডও সনদের আলোকে অগ্রাধিকারমূলক নির্দেশনা এবং এর জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দের দাবি জানান বক্তারা।

কর্মজীবী নারীর সুবিধার্থে নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রণোদনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতেও সরকারকে তাগিদ দেন তাঁরা। এ ছাড়া সমতা অর্জনে বাজেট বিশ্লেষণের ওপর জোর দেন তাঁরা।