ঘরে সিঁধ কেটে শিশুকে বের করে হত্যা!

অস্বাভাবিক মৃত্যু। প্রতীকী ছবি
অস্বাভাবিক মৃত্যু। প্রতীকী ছবি

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে একটি ঘরে সিঁধ কাটার ঘটনা ঘটেছে। পরে বুধবার সকালে ওই ঘরের পাশে ১০ বছর বয়সী শিশুর লাশ পাওয়া গেছে। নিহত ওই শিশুর পরিবারের সদস্যরা বলছেন, মঙ্গলবার রাতে সিঁধ কেটে ঘুরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে।

মারা যাওয়া ওই শিশুর নাম হাসান আলী। সে একই গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর মা রিনা বেগম ও বাবা আবদুল হালিমকে পুলিশ আটক করেছে।

বড়াইগ্রাম থানা-পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে দৌলতপুর গ্রামের আবদুল হালিমের দ্বিতীয় স্ত্রী রিনা বেগম তাঁর ছেলে হাসান আলীকে সঙ্গে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে বুধবার সকালে ঘরের পেছনে হাসান আলীর লাশ পাওয়া যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। পরে ওই ঘর থেকে অচেতন অবস্থায় শিশুটির মা রিনা বেগমকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিনা বেগম ও তাঁর স্বামী আবদুল হালিমকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস বলেন, শিশুটিকে হত্যার রহস্য জানা যায়নি। ঘরে ঘুমানোর পর শিশুটিকে কীভাবে বাইরে এনে হত্যা করা হলো, তা নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। অন্য কেউ সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকেছিল কি না, সেটাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।