'বাজেট স্মার্ট নয়'..

জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম বলেছেন, অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন স্মার্ট বাজেট দেবেন। কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাজেট মোটেই স্মার্ট হয়নি। বরং বাজেটের পদে পদে গোঁজামিল ও শুভংকরের ফাঁকি।

বুধবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে ফখরুল ইমাম এ কথা বলেন।

ফখরুল ইমাম বলেন, তাজউদ্দীন আহমদ যে বাজেট দিয়েছিলেন, তা ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার। এবারের বাজেট তার থেকে প্রায় ৬৩৬ গুণ। বাজেটের আকার বা টাকার পরিমাণ বিষয় নয়, বিষয়টা হচ্ছে আদর্শের। তাজউদ্দীনের বাজেট আর বর্তমান বাজেটের দর্শনগত ভিত্তি বিপরীত। তাজউদ্দীনের বাজেট ছিল সমাজতন্ত্রমুখী আর গত তিন দশকের বাজেট হলো পুঁজিবাদের নয়া উদারবাদী ধারা।

বিএনপির সাংসদ আমিনুল ইসলাম বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো প্রতিহিংসামূলক নির্বাচন অতীতে হয়নি। আর যেন এ ধরনের নির্বাচন না হয়। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন।

সরকারি দলের সাংসদ আবুল কালাম আজাদ স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, এতে ডিজিটালাইজেশনের গতি বাধাগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, শিশু ও নারী ধর্ষণ, নির্যাতনের বিষয়ে সরকারের আরও দৃষ্টি দেওয়া দরকার।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ আছে। এমনিই নৌকায় পাল লাগিয়ে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যাব, তা নয়। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। আর সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার ধৈর্য ও সক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর আছে।

শাহজাহান খান বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীরা এখনো তৎপর। তাদের কারণে ভালো সিদ্ধান্ত নষ্ট হতে বসেছে। বাড়ি ভাড়ার কোনো নিয়ম–নীতি নাই। বাড়িভাড়া বছর বছর বাড়ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ, এ বি তাজুল ইসলাম, এ কে এম শাহজাহান কামাল, মুহিবুর রহমান, শিরীন আহমেদ, আসলাম হোসেন সওদাগর, কাজিম উদ্দীন, রমেশ চন্দ্র সেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।