খোঁজ মেলেনি নৈশপ্রহরীর

নৈশপ্রহরী ইয়াকুব আলীর সন্ধানে জঙ্গলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ফরিদপুর, ২৬ জুন। ছবি: আলীমুজ্জামান
নৈশপ্রহরী ইয়াকুব আলীর সন্ধানে জঙ্গলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ফরিদপুর, ২৬ জুন। ছবি: আলীমুজ্জামান

ফরিদপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী ইয়াকুব আলী শেখ (৩৮) নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পরও তাঁর কোনো খোঁজ মেলেনি। বুধবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়সহ আশপাশ এলাকায় পুলিশ তল্লাশি চালিয়েও তাঁর কোনো হদিস পায়নি।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে ফরিদপুর উচ্চবিদ্যালয়ের বারান্দা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নৈশপ্রহরী ইয়াকুব আলীর রক্তমাখা শার্ট, মশারি, বালিশ ও মুঠোফোন। বারান্দার মেঝেতে ছিল ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। কিন্তু তিনি ছিলেন নিখোঁজ।

ইয়াকুব আলী শেখ ফরিদপুর সদরের কৈজুরি ইউনিয়নের পশ্চিম বিলনালিয়া গ্রামের সালাম শেখের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। সাত বছর ধরে তিনি শহরের স্টেশন রোডের ফরিদপুর উচ্চবিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তবে এর পাশাপাশি তিনি শহরের দক্ষিণ আলীপুরে একটি সেলুনে কাজ করতেন।

ইয়াকুবের স্ত্রী ছকিনা বেগম বলেন, তাঁর স্বামীর নিখোঁজ হওয়া ও রক্তমাখা শার্ট উদ্ধারের ঘটনায় সন্তান ও পরিবার নিয়ে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায়। তিনি বলেন, তাঁর স্বামীর কোনো শত্রু ছিল না। বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীর কাজ করার জন্য মাদক সেবনকারীদের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়েছিল। এর বেশি কিছু তাঁদের জানা নেই। এই অবস্থায় স্বামীকে দ্রুত ফেরত পেতে সবার সহযোগিতাও চেয়েছেন ছকিনা।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, ‘নিখোঁজ ঘটনায় ইয়াকুব আলীর স্ত্রী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। আমরা তাঁকে উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, বুধবার দৈনিক প্রথম আলোর ৯–এর পাতায় ‘নৈশপ্রহরী নিখোঁজ বারান্দায় রক্ত’ শিরোনামে এ–সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে।