নির্যাতনের পর গৃহবধূর মাথা ন্যাড়া, আটক ৩

কক্সবাজার
কক্সবাজার

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় এক গৃহবধূকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটকের পরে আজ বৃহস্পতিবার একটি মামলা হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর নাম রুবি আক্তার (২০)। তাঁর স্বামী তোফাজ্জল হাসান (২২)। তাঁরা উপজেলার লেমশিয়াখালী ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

আটক ব্যক্তিরা হলেন গৃহবধূর স্বামী তোফাজ্জল হাসান, তাঁর বড় ভাই নুরুল বশর (৩৩) ও ভাবি আয়েশা বেগম (২৮)। বুধবার রাত ১২টার দিকে তাঁদের আটক করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে তোফাজ্জল ও রুবির বিয়ে হয়েছে। তবে দুই মাস ধরে তোফজ্জলের পরিবার যৌতুকের দাবিতে রুবির ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে। গত মঙ্গলবার রুবিকে বাবার বাড়ি থেকে টেম্পো কেনার টাকা এনে দিতে বলেন তোফাজ্জল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। রুবি এতে রাজি হননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তোফাজ্জল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রথমে রুবিকে মারধর করেন। পরে রুবির মাথা ন্যাড়া করে দেন। এরপর আহত অবস্থায় রুবিকে বাবার বাড়ি রেখে আসেন তাঁরা। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাতে রুবিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর বাবার বাড়ির সদস্যরা। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে রুবির সৎমা হুমায়রা বেগম বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস বলেন, গৃহবধূ রুবির মাথা ন্যাড়া করার ঘটনা তাঁকে কেউ জানাননি। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত পুলিশের একটি দল ঘটনাটি তাঁকে জানায়। এরপর বুধবার রাত ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে রুবির স্বামীসহ তিনজনকে আটক করা হয়।

মহেশখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রতন কুমার দাশগুপ্ত বলেন, তিনি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রুবিকে দেখতে গিয়েছিলেন। রুবি এখন অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছে পুলিশ।