গরম তেলে ঝলসে যাওয়া সেই স্বামীর মৃত্যু

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় গরম তেলে ঝলসে যাওয়া সেই স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার ১০ দিন পর বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ উঠেছে, স্ত্রীর ঢেলে দেওয়া গরম তেলে দগ্ধ হয়েই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম দিদার হোসেন (৩৫)। তিনি সদর উপজেলার চররুহিতা গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, সকালে ঢামেক হাসপাতালে দিদার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গরম তেল দিয়ে ঝলসে দেওয়ার মামলাটিতে এখন হত্যা মামলার ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ঘটনার পর থেকে দিদারের স্ত্রী ও তাঁর ভাই পলাতক রয়েছেন। তাঁদের আটকের চেষ্টা চলছে।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৭ জুন পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী জহুরা বেগমের দেওয়া গরম তেলে শরীর ঝলসে যায় দিদার হোসেনের। তাঁর মুখ, হাত, বুকসহ শরীরের ৩০-৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়। ওই দিনই দিদারের মা বানু বেগম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলা করেন। এতে জহুরা বেগম ও তাঁর ভাই আলমগীর হোসেনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ রোড এলাকায় স্ত্রীসহ ভাড়া বাসায় থাকতেন দিদার। ঘুমন্ত অবস্থায় দিদারের শরীরে গরম তেল ঢেলে দেন স্ত্রী জহুরা বেগম ও তাঁর ভাই আলমগীর হোসেন। এরপরই তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

দিদারের বড় ভাই আকবর হোসেন বলেন, ২০০৩ সালে উপজেলার চর রমণীমোহন গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে জহুরা বেগমের সঙ্গে দিদারের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের কারণে ২০১৬ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। পরে দুজনই অন্য জায়গায় বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু প্রায় এক বছর আগে জহুরাকে আবার দিদার বিয়ে করেন। এরপর থেকে তাঁরা লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ রোড এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। পারিবারিক কলহের জেরে জহুরা গরম তেল ঢেলে দিদারের শরীর ঝলসে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন...