সিলেট সিটি মেয়রের জন্য আসামের মন্ত্রীর উপহার

আরিফুল হক চৌধুরী
আরিফুল হক চৌধুরী

পিতলের তৈরি শোভাবর্ধনের একটি আসবাব। রাজকীয় সভা কিংবা অভিজাত বাসাবাড়িতে ব্যবহারের ঐতিহ্য রয়েছে। সঙ্গে মাথার ছাতা। ঐতিহ্যের এ দুটো জিনিস সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর জন্য ‘উপহার’ হিসেবে নিয়ে এসেছিলেন সিলেট সফরে আসা ভারতের আসাম রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোয়ারি।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নগর ভবনে সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উপহার হস্তান্তর করেন। মেয়র উপহারগুলো গ্রহণ করেন। এ সময় আসাম ঐতিহ্যের ছাতা মাথায় পরেন মেয়র। তিনি বলেন, আসাম সিলেটের প্রতিবেশী। একসময় একসঙ্গে ছিল। এ জন্য আসাম ঐতিহ্যের অনেক কিছু সিলেটে ব্যবহৃত হয়। ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে ব্যবহারের আসবাব রয়েছে আসামের। এর জবাবে আসামের মন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোয়ারিও জানান, ব্যবহারের জিনিসপত্র ছাড়াও সিলেটি অনেক খাবারও আসামে জনপ্রিয়।

এ রকম কুশলাদি বিনিময়ের পর মেয়রের সঙ্গে আসামের মন্ত্রীসহ প্রতিনিধিদলের সৌজন্য মতবিনিময় সভা হয়। ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য আসামের সঙ্গে সিলেটের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য আসাম, মেঘালয়সহ সেভেন সিস্টার্সভুক্ত রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অতীতের মতো এখনো বজায় রাখতে হবে। তবেই আসামসহ সেভেন সিস্টার্সভুক্ত রাজ্যগুলোর সঙ্গে সিলেটসহ বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।

চন্দ্র মোহন পাটোয়ারি মেয়রকে জানান, সীমান্তবর্তী বৃহত্তর সিলেটের মানুষের সঙ্গে আসামের মানুষের অতীতের সুসম্পর্ক বজায় রেখে তা আরও সুদৃঢ় করতে তাঁর সরকার কাজ করে যাচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে সব সময় বিবেচনা করে ভারত।

মেয়রের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে আসাম রাজ্যসভার অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি যীষ্ণু বড়ুয়া, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি অবিনাশ যোশী, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার এল কৃষ্ণমূর্তি, ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব এম এস নবনীতা চক্রবর্তী এবং সিলেট প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, সচিব মোহাম্মদ বদরুল হক, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।