কাঠের টুকরার আঘাতে যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এক যুবকের কাঠের টুকরার আঘাতে আহত মোহাম্মদ জিয়াবুল (৩৪) নামের এক যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

মোহাম্মদ জিয়াবুল সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের করইয়ানগর এলাকার আবদুচ ছবুরের ছেলে। তিনি তিন সন্তানের জনক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ১৫-২০ দিন আগে স্থানীয় একটি পুকুর থেকে মাছ চুরির ঘটনা ঘটে। জিয়াবুল ওই মাছ চুরির ঘটনায় জসিমের জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে এর প্রতিবাদ জানান। ২১ জুন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঠাকুরদীঘির পশ্চিম পাশে নেজামের দোকান এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা মাছ চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে জসিমকে একটি ঘরে আটকে রাখেন। এ সময় মোহাম্মদ জিয়াবুলও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। জসিম ওই ঘরের পেছনের বেড়া খুলে কৌশলে বের হয়ে আসেন। এ সময় তিনি কাঠের টুকরা নিয়ে জিয়াবুলের ওপর হামলা চালান। জিয়াবুলের মাথা ও মুখে এলোপাতাড়ি আঘাত করে পালিয়ে যান জসিম।

স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে লোহাগাড়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

জিয়াবুলের বাবা আবদুচ ছবুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো দিন কারও ক্ষতি করে নাই। অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে মাত্র। সমাজের একটি পুকুর থেকে মাছ চুরির বিষয়ে প্রতিবাদ করার কারণে সন্ত্রাসী জসিম আমার ছেলেকে কাঠের টুকরা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার ছেলের হত্যাকারীর বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে জানার জন্য মো. জসিমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

সাতকানিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নেজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, জিয়াবুল যুবলীগের রাজনীতি করতেন। জিয়াবুলের হত্যাকারী জসিম এলাকায় মাদকাসক্ত, মাদক বিক্রেতা ও সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিউল কবীর প্রথম আলোকে বলেন, মাছ চুরির ঘটনার প্রতিবাদ করায় জিয়াবুলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর থেকে জসিম পালিয়ে গেছেন। বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে জসিমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। হত্যাকারীকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।