তদন্তে গিয়ে দায়ের কোপে এএসআই রক্তাক্ত

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

পিরোজপুরের কাউখালীতে নারী লাঞ্ছনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তির দায়ের কোপে পুলিশ কর্মকর্তা গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার জয়কুল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

আহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম রফিকুল ইসলামকে (৩৫)। তিনি কাউখালী থানায় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)। শরীরে একাধিক কোপের জখম থাকায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম হায়দার হাওলাদার। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিবেশী এক নারী হায়দারের বিরুদ্ধে লাঞ্ছনার অভিযোগ তোলেন। ওই অভিযোগ তদন্তে এএসআই রফিকুল অভিযুক্ত হায়দারের বাড়িতে গেলে এই ঘটনা ঘটে।

কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাঁ হাতের কবজির ওপরের অংশে রগ কেটে গেছে। এ ছাড়া ডান হাত, মুখমণ্ডলসহ শরীরে চারটি কোপের জখম রয়েছে। তিনি জানান, রফিকুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে।

কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, উপজেলার জয়কুল গ্রামের হায়দার হাওলাদারের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী এক নারী থানায় লাঞ্ছনার অভিযোগ করেন। আজ সকালে এএসআই রফিকুল ইসলামকে অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি বেলা ১১টার দিকে হায়দারের বাড়িতে যান। ঘরে ঢোকার সময় হায়দার ধারালো দা দিয়ে রফিকুলকে কুপিয়ে জখম করেন।

ওসি জানান, এলোপাতাড়ি কোপে রফিকুল ইসলামের হাত ও মাথায় চার থেকে পাঁচটি জখম হয়েছে। স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় রফিকুলকে উদ্ধার করে প্রথমে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। হায়দারকে আটকের চেষ্টা চলছে।