কুলাউড়ায় প্রতিরক্ষা বাঁধে ফাটল, সড়কে চলাচলে ঝুঁকি

সড়কে ভাঙন দেখা দেওয়ায় টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে লাল নিশানা। গত বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কটারকোনা বাজার-ইউপি কার্যালয় সড়কের হাসিমপুর এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো
সড়কে ভাঙন দেখা দেওয়ায় টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে লাল নিশানা। গত বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কটারকোনা বাজার-ইউপি কার্যালয় সড়কের হাসিমপুর এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে মনু নদের প্রতিরক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে কটারকোনা বাজার-হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সড়ক। ওই সড়কের হাসিমপুর এলাকায় গত বুধবার বাঁধের প্রায় ৫০ ফুট জায়গায় ফাটল দেখা দেয়। এতে যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় লোকজনের আশঙ্কা, বাঁধ ভেঙে পড়লে নদের পানি ঢুকে এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে। নদের ওই স্থান থেকে খননযন্ত্র দিয়ে বালু তোলায় বাঁধে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের।

এলাকাবাসী ও পাউবোর সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সড়কটি নির্মাণ করেছে। এই সড়ক দিয়ে হাজীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার লোকজন প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে কুলাউড়া উপজেলা সদরসহ পাশের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় চলাচল করেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সড়কের হাসিমপুর এলাকায় কুতুব উদ্দিনের বাড়ির সামনে বাঁধের প্রায় ৫০ ফুট জায়গায় ফাটলের সৃষ্টি হয়। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এলাকাবাসী ওই স্থানে লাল পতাকা টানিয়ে রাখেন স্থানীয়রা। বিকেলে পাউবোর কর্মকর্তারা ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে স্থানটি পরিদর্শনে যান।

ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল বাছিত বলেন, কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। উজানের পাহাড়ি ঢলও নামছে। নদে পানি বাড়ছে। প্রবল স্রোতে বাঁধ ভেঙে গেলে পানি ঢুকে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। ইউপি চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, মনু নদ বালুমহাল প্রতিবছর ইজারা দেওয়া হয়। দুটি স্থান কটারকোনা সড়কসেতু ও মনু রেলসেতুর কাছাকাছি পড়েছে। ইজারার শর্ত অনুযায়ী, ওই দুটি স্থানের এক কিলোমিটারের ভেতর থেকে বালু তোলা নিষেধ। কিন্তু ইজারাদারেরা ওই নিষেধাজ্ঞা না মেনে প্রায়ই খননযন্ত্র দিয়ে সেখান থেকে বালু তোলেন। ফলে জায়গাটি গভীর হয়ে যাওয়ায় বাঁধের মাটি সরে গিয়ে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে।

পাউবোর মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, দু-এক দিনের মধ্যেই সরেজমিনে দেখে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদি উর রহিম বলেন, নতুন ইজারাদারকে বালুমহাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সেতুর কাছ থেকে বালু তুলছেন না।

ইজারাদার ও জেলা পরিষদের সদস্য বদরুল ইসলাম বলেন, দুটি সেতুর এক কিলোমিটার ভেতর থেকে বালু না তুলতে ভূমি কার্যালয় থেকে তাঁদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সেটা মেনে চলছেন।