বিয়ের আসরেই বিচ্ছেদ হলো তাঁদের

ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে ঝগড়ার জেরে বিয়ের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের উত্তর পালাহার গ্রামে গতকাল শুক্রবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে।

বরের নাম সোহেল মিয়া। তিনি একই ইউনিয়নের (মোয়াজ্জেমপুর) মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের বাসিন্দা।

কনের এক ভাবি বলেন, ‘খানাপিনার পর কাজী সাহেব এক লাখ ২০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়েটি নিবন্ধন করেন। বিয়ের পর বাড়ির একটি কক্ষে তিনি বর ও কনেকে বিদায় দেওয়ার প্রস্তুতি হিসাবে দুধভাত খাইয়ে দিচ্ছিলেন। এ সময় একপর্যায়ে বরপক্ষের এক তরুণ তাঁকে (কনের ভাবি) জড়িয়ে ধরেন। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক বাধে। পরে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।’

দুই পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মারামারি ঘটনার পর কনে বরের বাড়ি যেতে রাজি হচ্ছিলেন না। পরে গ্রামের মুরুব্বিরা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু বক্কর সিদ্দিক তাঁর (কনে) মতামত জানতে চান। কনে তাঁর অবস্থানে অটল থাকেন। বিয়ের ঘণ্টা খানেকের মাথায় তাঁদের বিয়ে বিচ্ছেদ নিবন্ধন করানো হয়। পরে বরপক্ষের লোকজন পুলিশ প্রহরায় কনের বাড়ি ত্যাগ করে। 

বরের বাবা ইদ্রিস আলী বলেন, ‘আমি ছেলের জন্য বউ আনতে গিয়েছি। মারামারি করতে নয়। বিয়ের আসরে অনেক কিছু নিয়ে তর্ক হতে পারে। সে জন্য কি বিয়ে ভেঙে দিতে হবে? আমি নিজে কনের বাড়িসহ গ্রামের বাড়ির লোকজনের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। কনের নামে জমি লিখে দিতে চেয়েছি। কিন্তু কনের বাড়ি ও গ্রামের লোকজন উল্টো আমাদের সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছে। আমাদের লোকজনকে ঘরে আটকে মারধর করেছে। পুলিশ গিয়ে আমাদের মুক্ত করেছে।’