এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মান যাচাই প্রয়োজন, সংসদে শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, অতীতে যেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে, নতুন করে সেগুলোর মান যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। কারণ, অতীতে বিএনপির আমলে মান যাচাই না করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।

আজ রোববার ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাসের আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবির বিপরীতে ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির ১০ জন সাংসদ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বরাদ্দের বিরুদ্ধে ছাঁটাই প্রস্তাব দেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা ছাঁটাই প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন, তাঁদের দলগুলো দীর্ঘদিন এ দেশে ক্ষমতায় ছিল। আমরা তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার দেখেছি। তখনকার শিক্ষা খাতে বরাদ্দ, শিক্ষার মান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান সম্পর্কেও আমরা অবগত আছি।’

বিএনপি সরকারের আমলে এমপিওভুক্তির প্রসঙ্গ টেনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন এমপিওভুক্তির জন্য তালিকা করতে গিয়ে তিনি দেখেছেন, কোথাও কোথাও বৈষম্য হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় পাশাপাশি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রাপ্যতার চেয়ে বেশিসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের সময়ে এগুলো এমপিওভুক্ত হয়। কোনো কোনো প্রভাবশালী মন্ত্রী তাঁর নিজের এলাকায় প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করেছেন, যেগুলো নিয়মবিরুদ্ধ ও মান যাচাই না করে নিয়মের বাইরে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। কোথাও কোথাও ছাত্র নেই, শিক্ষক নেই, কিছুই নেই। অতীতে যত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে, সেগুলোর মান যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে।

এর আগে ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ শিক্ষক ও চিকিৎসকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

জাতীয় পার্টির আরেক সদস্য মুজিবুল হক বলেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা কর্ম-উপযোগী নয়। প্রতিটি স্কুলে কর্মমুখী শিক্ষা চালু করার দাবি জানান তিনি।

বিএনপির সাংসদ রুমিন ফারহানা বলেন, শিক্ষায় বরাদ্দ ক্রমে কমছে। দুর্বল শিক্ষার মান আরেকটি সমস্যা। দেশে দক্ষ কর্মীর অভাবে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যায় অন্য দেশের কর্মীরা। বর্তমান সরকার এক দশক ক্ষমতায়। তারপরও যদি বিদেশ থেকে লোক আনতে হয়, তখন সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার থাকে না।