আহা রসমঞ্জরি!

গাইবান্ধার সুস্বাদু মিষ্টি রসমঞ্জরি।  প্রথম আলো
গাইবান্ধার সুস্বাদু মিষ্টি রসমঞ্জরি। প্রথম আলো

গাইবান্ধার সুস্বাদু মিষ্টি রসমঞ্জরি। এই জেলায় কেউ এলে এই মিষ্টির খোঁজ পড়ে। দেশের যেকোনো এলাকা থেকে কেউ গাইবান্ধা এলেই রসমঞ্জরির স্বাদ আস্বাদন করতে চান। খাওয়ার পর বাড়ির জন্য কিনেও নিয়ে যান। খেলেই শুধু বোঝা যায়, কেন এই মিষ্টির নাম শুনলে জিবে পানি আসে।

ব্যবসায়িকভাবে ১৯৪০ সালে রসমঞ্জরির উৎপাদন শুরু হয়। এর সুনাম ও পরিচিতি দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে ১৯৫০ সালের দিকে। রসমঞ্জরি উদ্ভাবন করেছিলেন গাইবান্ধা শহরের মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক রাম মোহন দে। এখন প্রতি কেজি রসমঞ্জরি তৈরি করতে উৎপাদন খরচ পড়ে প্রায় ২৬০ টাকা। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। দোকানে বসে খেলে প্রতি প্লেট ৫০ টাকা।

গাইবান্ধা মিষ্টান্ন ভান্ডারের ব্যবস্থাপক এস এম রাশেদ আহমেদ বললেন, ‘গাইবান্ধার রসমঞ্জরি এখন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। গ্রাহকেরা এই মিষ্টি নিয়ে যাচ্ছেন, আমরা কেবল পাঠানোর জন্য প্রক্রিয়াজাত করে দিচ্ছি।’ একটা শঙ্কার কথাও জানালেন তিনি। ‘বর্তমানে দুধ, চিনিসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় রসমঞ্জরি তৈরি করে উৎপাদন খরচ উঠছে না। অন্যদিকে দামও বাড়ানো যাচ্ছে না। এ ছাড়া বর্তমানে খাঁটি দুধ পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে।’

 রসমঞ্জরি সম্পর্কে গাইবান্ধা শহরের পশ্চিম পাড়ার প্রবীণ কলেজশিক্ষক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘রসমঞ্জরি নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি।’

এক কেজি রসমঞ্জরি তৈরি করতে দরকার আড়াই কেজি দুধ, ১০০ গ্রাম চিনি, ২৫ গ্রাম ময়দা, ২০০ গ্রাম দুধের ছানা, এলাচসহ পাঁচ টাকার মসলা। ছানার সঙ্গে ময়দা মিশিয়ে গুটি গুটি রসগোল্লা তৈরি করতে হয়। এই মিষ্টি দুধের ক্ষীরের সঙ্গে গরম করে মেশাতে হয়। ঘন দুধের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি হয় সুস্বাদু রসমঞ্জরি।

এই মিষ্টিকে জেলা ব্র্যান্ডিং করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও প্রকল্প পরিচালককে কর্মপরিকল্পনা পাঠানো হয়েছে।