শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলার মামলা: ৩০ জনের জামিন বাতিল

১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলার মামলায় আজ রোববার ৩০ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ছবি: হাসান মাহমুদ
১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলার মামলায় আজ রোববার ৩০ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ছবি: হাসান মাহমুদ

বিরোধীদলীয় নেত্রী থাকাকালে শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলার মামলায় পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপির ৩০ নেতা-কর্মীর জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার পাবনার অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতে ৫২ জনের মধ্যে ৩০ জন আসামি হাজির হলে জামিন বাতিল করে বিচারক রুস্তম আলী সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টার দিকে বিচারক রুস্তম আলী এজলাসে বসেন। এর পরপরই বিএনপির নেতা-কর্মীরা আদালতের কাঠগড়ায় হাজির হন। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর বিচারক জামিন বাতিল করে তাঁদের কারাগারে পাঠান। আগামীকাল সোমবার মামলার যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করেন।

এ মামলার অন্যতম আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মকলেছুর রহমান বাবলু, বর্তমান ঈশ্বরদী পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ বাকি নেতা-কর্মীরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলার মামলায় আজ রোববার ৩০ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ছবি: হাসান মাহমুদ
১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলার মামলায় আজ রোববার ৩০ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ছবি: হাসান মাহমুদ

তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর উত্তরাঞ্চলে দলীয় কর্মসূচিতে ট্রেনবহর নিয়ে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে প্রবেশের সময় শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালান। হামলার ঘটনায় শেখ হাসিনা ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে দলীয় কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করেন। পরে রেলওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে ৫২ জনকে আসামি করে আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২৫ বছর ধরে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন আছে।