সাংসদের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির অভিযোগ দলীয় নেতার

সাংসদ হাসান ইমাম খান ওরফে সোহেল হাজারী। ছবি: সংগৃহীত
সাংসদ হাসান ইমাম খান ওরফে সোহেল হাজারী। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের সাংসদ হাসান ইমাম খান ওরফে সোহেল হাজারীর বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির অভিযোগ করেছেন তাঁর দলের এক নেতা। আদালত রোববার বাদীপক্ষের শুনানি গ্রহণ করলেও এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি।

সাংসদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগকারী ওই নেতার নাম মো. মোখলেছুর রহমান। তিনি কালিহাতী উপজেলার বাংড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আমলি আদালতে মোখলেছুর রহমানের করা অভিযোগে বলা হয়, গত মার্চে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থনে বাংড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখল করে নেওয়া হয়। সাংসদ হাসান ইমামের নির্দেশে তাঁর অনুসারী মাহমুদুল হাসান ও সোহেল সরকার তালা ভেঙে ওই কার্যালয়ে দখল করেন। বিষয়টি তিনি (মোখলেছুর) দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের লিখিতভাবে জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৭ এপ্রিল সাংসদ হাসান ইমাম তাঁর ব্যবহৃত সহকারী মুঠোফোন থেকে মোখলেছুরকে ফোন করে আপত্তিকর ভাষায় গালিগালাজ করেন। একই সঙ্গে তাঁকে (মোখলেছুর) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার হুমকি দেন এবং তাঁর অনুগত লোকজন দিয়ে হামলা করে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। সাংসদ সোহেল হাজারীর এই হুমকি মুঠোফোনে রেকর্ড করা আছে বলেও দাবি করেন মোখলেছুর রহমান।

মোখলেছুর রহমানের আইনজীবী মো. আবদুল করিম বলেন, আদালতে অভিযোগের পর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমিনুল ইসলাম ফৌজদারির কার্যবিধিতে বাদীর জবানবন্দি নিয়েছেন এবং আইনজীবীরও শুনানি গ্রহণ করেছেন। পরবর্তী সময়ে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে সাংসদ হাসান ইমাম খান ওরফে সোহেল হাজারী বলেন, ‘মোখলেছুর রহমান আদম ব্যবসায়ী। তাঁর কাছে অনেক মানুষ টাকা পায়। তাকে একটি প্রকল্প দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রকল্পের কাজও ঠিকমতো করেনি। তাই তাঁর সঙ্গে ফোনে কিছু কথা হয়েছিল। আদালত যদি পরোয়ানা দেন, তবে আদালতকে সম্মান জানিয়ে আমি আদালতে যাব।’

প্রসঙ্গত, হাসান ইমাম খান টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের সাংসদ। এ আসনের সাবেক সাংসদ আবদুল লতিফ সিদ্দিকী হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে কটূক্তি করায় ২০১৪ সালে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত হন ও দল থেকে বহিষ্কৃত হন। তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করার পর উপনির্বাচনে হাসান ইমাম খান সাংসদ নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সাংসদ হন।