খুলনায় ৯ মাসের শিশুকে গলা কেটে হত্যা, মা আটক

ভোর থেকে তেমন কিছু খাচ্ছিল না ৯ মাসের শিশু মেহমেদ। তাই সকালে অফিসে যাওয়ার আগে মেহমেদের বাবাকে দুধ কিনে আনতে বলেন মা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মেহমেদের মা স্বামীকে ফোন করে বলেন, ‘তোর ছেলেকে বটি দিয়ে খুন করেছি।’

এমন ঘটনা ঘটেছে খুলনা নগরের হরিণটানা থানার রায়েরমহল এলাকায়। আজ সকালে ঘর থেকে মেহমেদের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মেহমেদের বাবার নাম জামাল সরদার আর মা শ্রাবণী আক্তার। মেহমেদ তাদের একমাত্র সন্তান। ওই ঘটনার পর শ্রাবণী আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

জামাল সরদারের বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জামাল বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর মা ও ছেলে ঘরেই ছিল। ১০টার দিকে মেজ ভাইয়ের বউয়ের কাছে তরকারি কাটার কথা বলে বটি চান শ্রাবণী। মাঝে মাঝেই এমন করে বটি নিতেন। পরে সেই বটি পাশের পুকুর থেকে ধুয়ে আবারও ফেরত দেন। কাঁথা দিয়ে রক্ত মুছে সেই কাঁথা পুকুরে ধুয়ে রোদে শুকাতে দেন তিনি। এরপর শাশুড়ির ঘরে গিয়ে চুপ করে বসে থাকেন শ্রাবণী।

জামালের মেজ ভাই সুমন সরদার বলেন, জামাল ফোন করে ঘরে গিয়ে কিছু হয়েছে কিনা তা দেখতে বলেন। এ সময় তাঁরা ঘরে গিয়ে দেখেন বিছানায় মেহমেদের গলাকাটা লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় শ্রাবণীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। শ্রাবণী মানসিক ভারসাম্যহীন কিনা, তা তাঁরা জানেন না।

হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, জামাল ও শ্রাবণীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জানা গেছে, সকালে সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রাবণী ফোন করে জানান যে ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করেছেন তিনি। স্বামীর দাবি, শ্রাবণী মানসিক ভারসাম্যহীন। মাঝে মাঝে তাঁর ওই রোগ দেখা দেয়। তবে বেশির ভাগ সময় ভালো থাকে।