টকশোওয়ালারা টিভিতে বলেন, আইনের শাসন নেই: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, টকশোওয়ালারা গভীর রাতে টেলিভিশনে বলে থাকেন দেশে আইনের শাসন নেই। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট, জেলহত্যা, ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা ইত্যাদি ঘটনার বিচার বন্ধ করাকে টকশোওয়ালারা আইনের শাসন বলতে ভালোবাসেন। খুনিদের দূতাবাসের চাকরি দেওয়ার নিন্দা করতে দেখিনি টকশোওয়ালাদের।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় এক জনসভায় আজ মঙ্গলবার এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। নান্দাইল উপজেলা নিবন্ধন কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন শেষে এ জনসভা হয়।

নিবন্ধন কার্যালয়টি নান্দাইল পৌরশহরের পুরান বাজার এলাকায়। ওই কার্যালয়ের এক একর ২৬ শতক নিজস্ব ভূমি আছে। ওই জমির ওপর তিন কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে সুদৃশ্য ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি উল্লেখ করে ‘সরি’ বলেছেন হেনরি কিসিঞ্জার। বিশ্বব্যাংক নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থে পদ্মাসেতু নির্মাণ করছে। বিশ্বের মানুষের কাছে আমাদের এই দেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্বের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে।

নান্দাইল আসনের সাংসদ মো. আনোয়ারুল আবেদীন খানকে করিতকর্মা নেতা বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাঁর (সাংসদ) প্রচেষ্টার ফলে সারা দেশের মধ্যে প্রথম নান্দাইলের নিবন্ধন কার্যালয়ের ভবনটি নির্মিত হয়েছে। ভবনটি উদ্বোধন করে তিনি এর ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, আগে টেলিফোন করে আদালতের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হতো। বর্তমান সরকারের আমলে আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সরকার তাতে হস্তক্ষেপ করে না।

আজকের সমাবেশে বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এতিমের টাকা চুরি করার অভিযোগে ২০০৮ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তিনি ২০ বার উচ্চ আদালতে গেছেন। বছরের পর বছর ধরে মামলা চলেছে। আইনের সব পর্যায়ে লড়ে ওই মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আদালতে ৩৫ লাখ মামলার জট একদিনে সৃষ্টি হয়নি। বর্তমান সরকার সেই জট ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। আইনের শাসন দিতে পারেন একমাত্র শেখ হাসিনা। তাঁর জন্য তিনি নান্দাইল বাসীর দোয়া চান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী একে এম খালিদ। তিনি সাংসদ আনোয়ারুল আবেদীন খানের প্রস্তাব মতো নান্দাইলের জন্য একটি মিলনায়তন ও পাবলিক লাইব্রেরি নির্মাণ করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ ৯ (নান্দাইল) আসনের সাংসদ আনোয়ারুল আবেদীন খান, ময়মনসিংহ ১১ (ভালুকা) আসনের সাংসদ মো. কাজীম উদ্দিন, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহা-পরিদর্শক খান মো. আবদুল মান্নান, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠান, নান্দাইল উপজেলার চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ, পৌরসভার মেয়র রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া প্রমুখ।