স্ত্রীর যৌতুকের মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে

নারায়ণগঞ্জে আইনজীবী স্ত্রীর যৌতুক ও নির্যাতনের মামলায় পুলিশ পরিদর্শক স্বামী আবু নকিবকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে আবু নকিব আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন জানালে শুনানি শেষে বিচারক শাহীন খন্দকার তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জাসমিন আহমেদের সঙ্গে ২০০৭ সালের ১৪ মে আবু নকিবের ১০ লাখ এক হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ৫০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে দুই দফায় জাসমিনকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন স্বামী নাকিবসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন জাসমিন।

জাসমিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, ‘যৌতুক না পেয়ে প্রায় সময় আবু নকিব ঘুমের মধ্যে আমার গলা টিপে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করতেন। এর প্রতিবাদ করলে কোমরের বেল্ট ও পায়ের বুটজুতা দিয়ে আমাকে মারধর করতেন তিনি। এ ছাড়া আবু নকিব গোপনে আরও দুটি বিয়ে করেছেন। সম্প্রতি আমাকে মারধর করে আবু নকিব পাঁচ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়েছেন।’

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, আবু নকিব নৌপুলিশে পরিদর্শক হিসেবে মিরপুরে কর্মরত। নারী নির্যাতন মামলায় তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিব উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে জানান, পুলিশ কর্মকর্তা আবু নকিব উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে বিচারিক আদালতে তিনি হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।