জাপার আলোচনায় এরশাদই কেন্দ্রে

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

জাতীয় পার্টির (জাপা) দলীয় সভায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সভায় এরশাদের কবর কোথায় হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি দলটির শীর্ষ নেতারা।

আজ বুধবার বেলা তিনটা থেকে জাপার সভাপতিমণ্ডলী সদস্য ও দলীয় সাংসদদের যৌথসভায় সভা চলে প্রায়​ আড়াই ঘণ্টা। জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় এরশাদের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা, দেশের বাইরে থেকে ভালো চিকিৎসক আনা যায় কিনা, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। একপর্যায়ে এরশাদের মৃত্যুর হলে তাঁর কবরস্থান কোথায় হবে, তাও আলোচনায় আসে। সভায় জাপার ৩৮ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাংসদ উপস্থিত ছিলেন।

সভার দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সভায় শুরুতেই জি এম কাদের ভাই এরশাদের কথা বলতেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন। যদিও দুপুরে বনানীর কার্যালয়ে জি এম কাদের এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, এরশাদের শারীরিক অবস্থার আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। সকালে তিনি সিএমএইচে গিয়েছিলেন। তাঁর কণ্ঠ শুনে এরশাদ চোখ ও হাত নাড়িয়েছেন।

জানা গেছে, সভায় কয়েকজন নেতা এরশাদকে ঢাকার সেনানিবাস অথবা সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে কবর দেওয়ার প্রস্তাব করেন। এর বিরোধিতা করে কয়েকজন নেতা বলেন, সেনানিবাসে কবর দেওয়া হলে সাধারণ মানুষ তাঁর কবর জিয়ারত করতে যেতে পারবে না।

সূত্র জানায়, সভায় জাপার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও সফিকুল ইসলাম সেন্টু মোহাম্মদপুরের আদাবরে জায়গা কিনে কবর দেওয়ার প্রস্তাব দেন।

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘আদাবরে না পাওয়া গেলে সাভারে আমার নিজস্ব জায়গা থেকে দুই বিঘা জায়গা এরশাদের কবরস্থানের জন্য লিখে দেব।’

এরপর প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশিদ পাবলিক প্লেসে এরশাদের কবরস্থান করার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘নেতা এরশাদের কবরস্থানের জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে পাঁচ কোটি টাকা দেব।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্যারকে যদি চিকিৎসার প্রয়োজনে বিদেশে নেওয়া হয়, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের যাবতীয় খরচও আমি বহন করব।’ সভায় আরও বক্তব্য দেন এম এ সাত্তার, সাহিদুর রহমান টেপা, শেখ মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, সুনীল শুভ রায়, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, তাজ রহমান, আজম খান প্রমুখ।

সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান বলেন, এরশাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। সভায় বাইরে থেকে চিকিৎসক আনার বিষয়েও আলোচনা হয় বলে জানান তিনি।