সৌদিতে সার্ভার ত্রুটিতে দুই হজ ফ্লাইটে ইমিগ্রেশন সমস্যা

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের হজ ফ্লাইট আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে। এ বছরই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের পাশাপাশি সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন (প্রি–অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হওয়ার কথা। তবে আজ সকাল সোয়া সাতটায় প্রথম ফ্লাইটে এই সুবিধা যাত্রীরা পাননি। পরে বেলা সোয়া ১১টায় বিমানের দ্বিতীয় ফ্লাইটেও এই প্রি–অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন–সুবিধা পাননি যাত্রীরা। সৌদি আরবেই সার্ভার ত্রুটির কারণে এমনটা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, সার্ভারে সমস্যার কারণে দ্বিতীয় ফ্লাইটেও প্রি–অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন করা যায়নি। আজকের বাকি দুটি ফ্লাইটে যে এটি করা যাবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

আজ মোট সাতটি ফ্লাইট হজযাত্রীদের নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। এর মধ্যে বিমানের চারটি ও সৌদি এয়ারলাইনসের তিনটি ফ্লাইট রয়েছে। এসব ফ্লাইটে মোট ২ হাজার ৬০০ হজযাত্রীর ঢাকা ছাড়ার কথা। সকাল সোয়া সাতটার দিকে ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে বিমানের বিজি-৩০০১ নম্বর ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হয়।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ও ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে উদ্বোধনী ফ্লাইটের হজযাত্রীদের বিদায় জানান। এ বিষয়ে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সমস্যা আরও কয়েকটি দেশে হয়েছে। আজকের পরবর্তী ফ্লাইটগুলোয় যেন এ সমস্যা না হয়, সে জন্য কাজ চলছে।

বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বেলা পৌনে ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, সকালের প্রথম যে ফ্লাইটটি ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল, তাদেরও সার্ভার সমস্যা থাকার কারণে প্রি–অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন করা যায়নি। পরে বেলা সোয়া ১১টার ফ্লাইটটিতেও একই সমস্যায় এটা করা যায়নি। আজকে বিমানের হজ ফ্লাইট আছে আরও দুটি এবং শিডিউল ফ্লাইট আছে আরও একটি। এ ছাড়া সৌদি এয়ারলাইনসের আরও তিনটি হজ ফ্লাইট আছে। এগুলোতেও করা যাবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানাননি তিনি।

জানা গেছে, সার্ভারজনিত সমস্যাটি সৌদি আরব থেকে হচ্ছে। বাংলাদেশে নয়। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, আজকের মধ্যে এটি ঠিক হয়ে যাবে।

বাংলাদেশের হজযাত্রীদের বেশির ভাগই বয়স্ক নাগরিক। হজের উদ্দেশে সৌদি আরবের জেদ্দায় পৌঁছানোর পর তাঁদের মালামাল সংগ্রহ ও ইমিগ্রেশন–প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। সাত থেকে আট ঘণ্টা ধরে ইমিগ্রেশন–প্রক্রিয়া শেষ করে তাঁরা মালামাল নিয়ে ওখানকার নির্দিষ্ট স্থানে ওঠেন। সৌদি আরবে হজের সময় সারা বিশ্ব থেকে অসংখ্য মানুষ আসেন। ফলে, ইমিগ্রেশনের ওপর চাপ পড়ে। সব বিবেচনা করে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন–প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করার সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য সৌদি আরব থেকে প্রতিনিধিদল এসেছে, তারা বিমানবন্দরের নির্দিষ্ট কাউন্টারে বসেছে। এবার ৬০ হাজার থেকে ৬৫ হাজার হজযাত্রীর সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্পন্ন হবে। এতে বিপুলসংখ্যক হজযাত্রীকে জেদ্দা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না। তবে সার্ভারে জটিলতার কারণে প্রথম দুই ফ্লাইটে এই সুবিধা পাননি যাত্রীরা।

বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের যে কার্যক্রম আছে, তা আশকোনা হজ ক্যাম্পেই সম্পন্ন করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন...