কনস্টেবলের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে

বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পিঞ্জিরা আক্তার (৪৬) নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল গতকাল বুধবার রাতে বগুড়ার পুলিশ লাইনস এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে। পিঞ্জিরা আক্তার জেলার শেরপুর উপজেলার বিরইল পূর্বপাড়ার বাসিন্দা।

প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক যুবকের কাছ থেকে প্রতারণামূলকভাবে ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগে পিঞ্জিরা আক্তারকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

বগুড়ায় এ বছর সাধারণ কোটায় ৫৪ জন ও বিশেষ কোটায় ১৮৫ জন কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা চলছে। গতকাল প্রাথমিক বাছাই শেষে আজ বৃহস্পতিবার লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। ১০০ টাকায় কনস্টেবল নিয়োগের ঘোষণা দিয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক মাইকিং, পোস্টার লাগানো ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।

বগুড়া ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আছলাম আলী বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্ক বার্তা প্রচারের পরও কনস্টেবল পদে চাকরির পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে শেরপুর উপজেলার রবিউল ইসলাম নামে এক যুবকের সঙ্গে ১০ লাখ টাকার চুক্তি করেন পিঞ্জিরা বেগম। এ জন্য অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা নেন তিনি। কিন্তু বুধবার প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি প্রার্থীদের উদেশে বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আশরাফ ভূঞা ঘোষণা দেন, পুলিশে চাকরি হবে যোগ্যতার ভিত্তিতে। কোনো তদবিরে চাকরি হবে না। এ ঘোষণা শোনার পর পিঞ্জিরা বেগমের টাকা নেওয়ার কথা এসপিকে জানান রবিউল। পরে এসপির নির্দেশে পিঞ্জিরাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আছলাম আলী বলেন, রবিউলকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে গত বছরও পিঞ্জিরা বেগম ৫ লাখ টাকা নিয়েছিল। পরে ৩ লাখ টাকা ফেরত দেয়। তাঁর বিরুদ্ধে রবিউল বাদী হয়ে শেরপুর থানায় প্রতারণার মামলা করেছেন।