বুড়িগঙ্গার তীরে ৮৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে চতুর্থ ধাপে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে। কেরানীগঞ্জ, ঢাকা, ৪ জুলাই। ছবি: সংগৃহীত
বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে চতুর্থ ধাপে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে। কেরানীগঞ্জ, ঢাকা, ৪ জুলাই। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে চতুর্থ ধাপে তৃতীয় দিনের মতো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে চালিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। বৃহস্পতিবার এই অভিযানে ৮৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং দখল করা প্রায় ১.৫ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কামরাঙ্গীরচর হুজুরপাড়া এলাকায় নদীর জায়গায় ফেলে রাখা ইট-বালু নিলামে বিক্রি করে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা আদায় করেন। নদীর তীরভূমি ভরাট করে ক্ষতিসাধন ও দূষণের অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে।

সকাল ১০টার দিকে বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ অভিযানকারীরা কামরাঙ্গীরচর থানার আশ্রাফাবাদ হুজুরপাড়া এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন। উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান।

ঢাকা নদীবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে কামরাঙ্গীরচর থানার আশ্রাফাবাদ হুজুরপাড়া, মাদবরবাজার, মুসলিমবাগ ও কামরাঙ্গীরচর ঠোটা ও কেরানীগঞ্জের জিনজিরা তাওয়াপট্টি এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযানে একতলা ভবন ১৩টি, দোতলা ভবন ৩টি, তিনতলা ভবন ১টি, আধাপাকা ভবন ২৪টি, সীমানাদেয়াল ১৬টি এবং টিনশেডের ৩১টি ছাপড়াসহ ৮৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন ফকির বলেন, নদীর তীরভূমি দখল করে ক্ষতিসাধন ও দূষণের অভিযোগে জামাল স’ মিলের মালিক জামাল হোসেন চৌধুরীকে (৪৩) আটক করে কামরাঙ্গীরচর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। জামালের সহযোগী আবদুল রহমান (৬০), আবুল হোসেনসহ (৪৮) তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকা নদীবন্দরের উপপরিচালক এ কে এম কায়সারুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফউদ্দিন বলেন, গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিন দিনে ৪৩৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চতুর্থ ধাপের উচ্ছেদ অভিযানের তৃতীয় দিনে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে কোথাও কোনো বাধার মুখে পড়তে হয়নি। বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ অভিযানের চতুর্থ পর্বের ১২ কার্যদিবসে খোলামোড়া থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উচ্ছেদ অভিযানে বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফউদ্দিন, উপপরিচালক মিজানুর রহমান, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুর হোসেন, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।