মাগুরায় মাদ্রাসাছাত্রকে কুপিয়ে আহত

মাগুরা সদর উপজেলার বাগবাড়িয়া দারুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র হাবিবুল্লাহকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যার চেষ্টা করা হয়। ছবি: কাজী আশিক রহমান
মাগুরা সদর উপজেলার বাগবাড়িয়া দারুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র হাবিবুল্লাহকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যার চেষ্টা করা হয়। ছবি: কাজী আশিক রহমান

মাগুরায় এবার এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার বাগবাড়িয়া দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র হাবিবুল্লাহর (১৫) ওপর এ হামলা হয়।

আহত হাবিবুল্লাহ একই উপজেলার ধুপুড়িয়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে। তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার ও বুধবার প্রায় ১৮ ঘণ্টার ব্যবধানে একটি মাথাবিহীন ও একটি গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।

বাগবাড়িয়া দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ওয়ায়েজ আহম্মেদ জানিয়েছেন, হাবিবুল্লাহ তাঁর প্রতিষ্ঠানের আবাসিক ছাত্র। প্রতিদিনের মতো রাত ১২টা পর্যন্ত পড়ালেখা করে ঘুমাতে গিয়েছিল ছাত্ররা। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ঘরে ঘুমায়। গরমের কারণে হাবিবুল্লাহসহ পাঁচজন মসজিদের বারান্দায় ঘুমিয়েছিল। রাত তিনটার দিকে ঘুমন্ত হাবিবুল্লাহর ওপর কেউ হামলা চালায়। এ সময় তার চিৎকারে হামলাকারী পালিয়ে যায়। মাদ্রাসার চারপাশে বেশ কিছু বৈদ্যুতিক বাতি থাকলেও সেগুলো নিভিয়ে দেওয়ায় হামলাকারীকে চেনা যায়নি। পরে হাবিবুল্লাহকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক অমরেশ প্রসাদ বিশ্বাস জানিয়েছেন, আহত হাবিবুল্লাহকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার ডান দিকে ও পেছনে আঘাত করা হয়েছে। বর্তমানে সে আশঙ্কামুক্ত।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, গতকাল রাত তিনটার দিকে মসজিদের বারান্দায় ঘুমন্ত আবদুল্লাহকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এর আগে বুধবার সকালে সদর উপজেলার কুকিলা গ্রামে আল–আমিন হোসেন (১৪) নামের এক ইজিবাইকচালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর মঙ্গলবার সকালে মহম্মদপুর উপজেলার পারুয়ারকুল গ্রামে ইমন হোসেন (২২) নামের এক তরুণের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আল–আমিন হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে তাঁরা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে আল–আমিনকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে ইমন হোসেন হত্যায় জড়িত কাউকে এখনো আটক হয়নি। জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন মাগুরার পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান।