নারায়ণগঞ্জে সেই মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা

আল আমিন
আল আমিন

নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লার মাহমুদপুরে ১২ শিশুছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল আমিনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে মাদ্রাসাছাত্রীদের পরিবারের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। একই সঙ্গে র‌্যাবের পক্ষ থেকে পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা করা হয়।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পৃথক দুটি মামলার আসামি আল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আগামী রোববার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ওই ছাত্রীর মায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনার সময় মাদ্রাসার একটি কক্ষে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেন ওই অধ্যক্ষ। তিনি একাধিকবার ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি করেছেন। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখা হয়। অধ্যক্ষ আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি ও বিভিন্ন কৌশলে ছাত্রীদের ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি করে আসছেন। তাঁর ব্যবহৃত কম্পিউটার ও মুঠোফোনে সংরক্ষিত আছে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও। অন্য অশ্লীল ছবির সঙ্গে ছাত্রীদের মাথা সংযোজন করে ছাত্রী ও অভিভাবকদের ভয়ভীতি দেখাতেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর এলাকার ‘বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসা’য় ১২ শিশুছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে অধ্যক্ষ আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১১। জিজ্ঞাসাবাদে অধ্যক্ষ আল আমিন ১২ শিশুছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টা এবং যৌন হয়রানির অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাঁর মুঠোফোন ও কম্পিউটার থেকে পর্নোগ্রাফির ভিডিও জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আল আমিনের শাস্তি চেয়ে স্থানীয় লোকজন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

আরও পড়ুন