'বড় ভাইদের' না জানানো নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের ছাত্রাবাসে সংঘর্ষ

প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন সম্পর্কে ‘বড় ভাইদের’ না জানানো নিয়ে গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের দুই দল শিক্ষার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি আছেন। কলেজের শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমনটা হয়।

শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি ছাত্রাবাস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে ছাত্রাবাসের মাঠে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের (৭৬তম ব্যাচ) দুটি অংশের মধ্যে একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। পূর্বনির্ধারিত এই ম্যাচ শুরুর আগেই একটি অংশ খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। তারা অভিযোগ করে, ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার সময় তাদের পক্ষের ‘বড় ভাইদের’ ডাকা হয়নি। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে একটি অংশ আরেকটি অংশকে মারধর করে।

সূত্র জানায়, সকালের মারধরের ঘটনার পর দুপুরের দিকে প্রথম বর্ষের ওই শিক্ষার্থীদের দুই অংশের ‘বড় ভাইদের’ মধ্যে ছাত্রাবাসের ভেতরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ও সংঘর্ষ হয়। এক পক্ষের সদস্যরা অন্য পক্ষের সদস্যদের লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করেন। এ সময় তাঁরা আবাসিক কক্ষ ভাঙচুর করেন। দুই অংশের ‘বড় ভাইই’ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং মেডিকেল শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী। একটি অংশের নেতৃত্বে আছেন ঢাকা মেডিকেলের ৬৯তম ব্যাচের ছাত্র রাজিবুল কাওনাইন, আরেকটি অংশে আছেন ৭২তম ব্যাচের জাকিউল ইসলাম।

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের যে অংশটি সকালে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে অন্য অংশকে মারধর করে, তারা রাজিবুল কাওনাইনের অনুসারী। রাজিবুল ও জাকিউলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের পাওয়া যায়নি।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় জাকিউল গ্রুপের ১২ জন ও রাজিবুল গ্রুপের ৩ জন আহত হয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি আছেন। জাকিউল গ্রুপের আহতরা হলেন ৭২তম ব্যাচের প্রতীচী পোদ্দার ও শাহরিয়ার খান, ৭৩তম ব্যাচের আব্দুর রউফ, সাইফুল ইসলাম ও শাহীন আহমেদ, ৭৪তম ব্যাচের নিয়ামুল হক ও আকাশ রায়, ৭৬তম ব্যাচের তন্ময় নন্দী, সুমন আহমেদ, প্রত্যয় কর্মকার, রুম্মান শাহরিয়ার ও ওবায়দুর রশিদ। রাজিবুল গ্রুপের আহত তিনজন হলেন ৭১তম ব্যাচের আসিফ আরেফিন, ৭৪তম ব্যাচের নিজাম উদ্দৌলা ও ৭৫তম ব্যাচের ফাহিম তাজওয়ার।

জানতে চাইলে শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি ছাত্রাবাসের প্রধান হাসানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনা তদন্তে তাঁরা একটি কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।