কাদেরের বিচারে গণআদালত করবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

'৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে 'বেইমানি' করার অভিযোগে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন চত্বরে গণআদালত স্থাপন করে ৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিচার করবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ৷

আজ শনিবার বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক মানববন্ধনে মঞ্চের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়৷

ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিকেলে শাহবাগে মানববন্ধন করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ৷ গত ৩০ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে কাদের বলেন, 'ওই পরিবারের কেউ হয়তো সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে ছিল বা জামায়াত ইসলাম করেছে৷ যুদ্ধাপরাধীদের সাথে তার যোগসূত্র ছিল, ৪৭ বছর পরে এই ধরনের বিষয় দেখার কোনো যৌক্তিকতা নেই৷ আমরা যাদের সদস্য করব, তাদের ব্যাকগ্রাউন্ডটাই মূলত...সে আসলে কী৷'

বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে বক্তব্য প্রত্যাহারে ওবায়দুল কাদেরকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ৷ এই সময়ের মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তাঁর কুশপুত্তলিকা দাহ করার ঘোষণাও দেয় সংগঠনটি৷

এরপর সে দিনই দুপুরে কাদের সাংবাদিকদের বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তি ও যুদ্ধাপরাধী পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না৷

বক্তব্য 'স্পষ্ট' করলেও কাদরের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার যে দাবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পূরণ না হওয়ায় আজ বিকেলে শাহবাগে মানববন্ধনের আয়োজন করে সংগঠনটি৷ মানববন্ধনে গণআদালত করে কাদেরের বিচারসহ ৭ টি ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়৷ কর্মসূচির ঘোষণা দেন মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন৷

মঞ্চের কর্মসূচিগুলো হলো ৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ, ১০-১২ জুলাই আওয়ামী লীগকে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে আনা’ ও ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগের দাবিতে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি পর্যন্ত পদযাত্রা, ২০ জুলাই রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন হয়ে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় পর্যন্ত পদযাত্রা, ১৫ আগস্ট সারা দেশের ইউনিয়ন-থানা-জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটিতে অনুপ্রবেশকারী বিএনপি-জামায়াত ও মৌলবাদীদের তালিকা প্রকাশ, ৮ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণআদালত স্থাপন করে ওবায়দুল কাদেরের বিচার, ৩০ সেপ্টেম্বর সারা দেশে জেলা-উপজেলাওয়ারী রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ এবং ২০২০ সালের ৩০ জুন রাজাকারদের বংশধরদের তালিকা প্রকাশ৷

মানববন্ধনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বক্তব্য দেন৷