খাদেম হানিফ হত্যার প্রধান আসামি সাইফুল ধরা পড়েনি

নিহত খাদেম হানিফ শেখ
নিহত খাদেম হানিফ শেখ

রাজধানী লালবাগের খাদেম হানিফ শেখ (৩০) হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে লালবাগ থানা-পুলিশ। আজ শনিবার তাঁদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমএম) হাজির করা হয়। আদালত প্রত্যেক আসামির তিন দিন করে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন।

তিন আসামি হলেন, বাহার উদ্দিন (৫৫), ফরিদ আহম্মেদ (৫০) এবং আবুল কালাম (৪৫)।

গত বুধবার লালবাগ থানার আজিমপুর কবরস্থানসংলগ্ন মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদের গুদামঘর থেকে খাদেম হানিফ শেখের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় হানিফের শ্বশুর জাকির শেখ বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে লালবাগ থানায় ৪ জুলাই হত্যা মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি খাদেম সাইফুল ইসলাম পলাতক আছেন। তাঁর বাবার নাম শফিকুল গ্রাম। তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ থানার মইসাই গ্রামে।

লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন আজ প্রথম আলোকে বলেন, হানিফের সঙ্গে আসামি খাদেম সাইফুলের বিরোধ ছিল তা অপর আসামিরা জানিয়েছেন। তবে কেন হানিফকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা গেলে হানিফ হত্যার রহস্য পুরোপুরি জানা যাবে।

মামলার বাদী নিহত হানিফ শেখের শ্বশুর বৃদ্ধ জাকির শেখ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর জামাই আজিমপুরের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদের খাদেমের চাকরিতে যোগ দেন। থাকতেন মসজিদের ওই তলার একটি কক্ষে। মসজিদে ঝাড়ু দেওয়াকে কেন্দ্র করে হানিফের সঙ্গে প্রধান আসামি খাদেম সাইফুলসহ অন্যদের কয়েক দিন আগে ঝগড়া হয়। সেদিন তারা হানিফকে মারার জন্য তেড়ে যায়।

মামলার এজাহারে জাকির শেখ বলেন, খাদেম সাইফুলদের সঙ্গে বিরোধ হওয়ার খবর মুঠোফোনে হানিফ তাঁর স্ত্রী-শ্বশুরকে জানান। এরপর থেকে চিন্তিত ছিলেন হানিফের পরিবার। গত ২ জুলাই বিকেলে হানিফের মুঠোফোন বন্ধ হওয়ার পর তিনি আরও দুশ্চিন্তায় পড়েন। পরে ঢাকার উদ্দেশ্যে তিনি রওনা দেন। মাওয়া পর্যন্ত আসার পর পুলিশ তাঁকে ফোন দিয়ে জানায়, হানিফের লাশ পাওয়া গেছে মসজিদে।
লালবাগ থানা-পুলিশ বলছে, মসজিদে চারজন খাদেম ও একজন ঝাড়ুদার ছিলেন। গত মঙ্গলবার রাত থেকে মসজিদের সাইফুল নামের এক খাদেম নিখোঁজ হন। ওই দিন জোহর বা আসরের নামাজের মাঝামাঝি কোনো সময়ে হানিফ শেখকে হত্যা করা হয়।

হানিফ শেখের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। তাঁর তিন মাস বয়সী একটি মেয়ে আছে।