বান্ধবী এমনও হয়!

নিজের ঘরে পোশাক পরিবর্তন করছিলেন এক কলেজছাত্রী। এ সময় সঙ্গে থাকা মেয়েটির ছবি তুলে ফেলেন তাঁরই এক বান্ধবী। এরপর ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন মেয়েটির বান্ধবী। ঘটনাটি জানতে পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই ছাত্রী। গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই কলেজছাত্রী বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গতকাল রাতে ওই ছাত্রীর বান্ধবীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আত্মহনের চেষ্টাকারী ছাত্রীর বাবা বলেন, একদিন ঘরে পোশাক পরিবর্তনের সময় প্রতিবেশী এক বান্ধবী তাঁর মেয়ের ছবি তোলে। ওই বান্ধবীর মা ভারতের মুম্বাইয়ে কাজ করেন। এর কিছুদিন পর একদিন তাঁর মেয়েকে ওই বান্ধবী মুম্বাই যাওয়ার প্রস্তাব দিয়ে বলে যে সেখানে গেলে অনেক টাকা উপার্জন করা যাবে। এ কথায় তাঁর মেয়ে না বললে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় ওই বান্ধবী। একপর্যায়ে তাঁর মেয়ের কাছে টাকা দাবি করে সে। তখন ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে না দেওয়ার শর্তে বান্ধবীকে দেড় হাজার টাকা দেয় তাঁর মেয়ে। কিন্তু তারপরও ২ জুলাই ছবি ছড়িয়ে দেয় ওই বান্ধবী। তাঁর মেয়ে বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল বেলা তিনটার দিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ায় ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর মা জানতে পেরে বাড়ির অন্যদের সহযোগিতায় মেয়েকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক কলেজছাত্রীর বাবা কাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে মামলা করেছেন। মামলায় মেয়েটির এক বান্ধবী ও তাঁর খালাতো ভাইকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল অভিযুক্ত মেয়েটিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মেয়েটির খালাতো ভাই পলাতক রয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত মেয়েটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মেয়েটিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।