লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বনচৌকি সীমান্তে গতকাল শনিবার ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে শাহিনুর রহমান (২৮) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। একই রাতে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঢুকে দুই বাংলাদেশিকে মারধর করেছে বিএসএফ।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা যায়, হাতীবান্ধা উপজেলা সীমান্তের ৯০৭ নম্বর মেইন পিলারের কাছে শনিবার ভোরে বিএসএস সদস্যদের গুলিতে গুরুতর আহত হন শাহিনুর। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল। পথে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় তাঁর মৃত্যু হয়। শাহিনুর হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব আমঝোল গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহবুবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে বনচৌকি সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি সদস্য এবং হাতীবান্ধা থানার পুলিশ আমঝোল গ্রামে শাহিনুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের স্থানীয় ক্যাম্পে চিঠি পাঠানো হয়। বিএসএফ রোববার পতাকা বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে।
কুড়িগ্রাম: গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়ি উপজেলার খলিশা কোটাল গ্রামের বজলুল হক শুক্রবার রাত নয়টার দিকে পার্শ্ববর্তী জামাইবাড়ি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় সীমান্তের ৯৩৪ নম্বর মেইন পিলারের ৫ নম্বর সাবপিলারের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রায় ২০০ গজ ঢুকে বিএসএফের ১০-১২ জন সদস্য তাঁকে মারপিট শুরু করে। তাঁর চিৎকারে মেয়ে আফরোজা (৩৫) এগিয়ে এলে বিএসএফ সদস্যরা তাঁকেও মারপিট করে। তাঁদের চিৎকারে গ্রামবাসী ও টহলরত বিজিবির সদস্যরা এগিয়ে এলে বিএসএফ সদস্যরা দৌড়ে ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে।
৪৫ বিজিবির অধীন বালারহাট বিওপির কমান্ডার নায়েব সুবেদার জাকির হোসেন জানান, ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হলেও বিএসএফ কোনো জবাব দেয়নি।