কাউন্সিলরকে প্রধান আসামি করে অভিযোগপত্র

রংপুর সদর উপজেলার ব্যবসায়ী লেবু মিয়া (৪৭) হত্যার ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। এতে রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-উত্তর) পরিদর্শক নজরুল ইসলাম আজ রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রংপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক আদালতে বৃহস্পতিবার কাউন্সিলরসহ চারজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ, আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাগলা পীরের মহাদেবপুর গান্ডারপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী লেবু মিয়াকে গত বছরের ১৪ জুন বাড়ি থেকে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর ওই দিন রাতে তাঁকে হত্যা করে মমিনপুর ইউনিয়নের একটি সড়কের পাশে লাশ ফেলে রাখা হয়। ইটভাটার ব্যবসা নিয়ে বিরোধের কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। লেবু মিয়ার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। কোতোয়ালি থানায় করা ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের দায়ী করা হয়।

পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, হত্যা মামলাটি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তে নামে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে সদর উপজেলার হাজিরহাট এলাকার বাসিন্দা বেলাল নামের এক ডাকাত ও তাঁর সহযোগী মমিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বেলাল মারা যান। তবে মমিদুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমানের নাম উল্লেখ করেন তিনি। এরপর এই মামলায় মোস্তাফিজুরকে প্রধান আসামি করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর গত বছরের ১৬ অক্টোবর আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। তবে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠান। এরপর কাউন্সিলরকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডে হত্যার কথা স্বীকার করেন মোস্তাফিজুর।

নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এ মামলায় পাঁচ আসামির মধ্যে একজন বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। অভিযোগপত্রে কাউন্সিলর ছাড়া বাকি তিন আসামি হলেন, মমিদুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান ও শাহিন মিয়া। বর্তমানে মোস্তাফিজুর জামিনে আছেন। আতিয়ার পলাতক, মমিদুল ও শাহিন কারাগারে আছেন।

লেবু মিয়া পেশায় তামাক ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি কাউন্সিলর মোস্তাফিজুরের মালিকানাধীন এসএমবি ইটভাটার ব্যবস্থাপকও ছিলেন।