মাগুরায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র খুন

মো. লিসানুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
মো. লিসানুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

মাগুরার সদর উপজেলায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে এক কিশোরকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার শিবরামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত কিশোরের নাম মো. লিসানুর রহমান (১৬)। সে সদর উপজেলার মঠবাড়িয়া গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। লিসানুর মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে তার হত্যার কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি।

এ ঘটনায় পুলিশ সোহেল (২২) নামের এক যুবককে সন্দেহ করছে। সোহেল শিবরামপুর এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোববার বেলা একটার দিকে লিসানুর তার পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে শিবরামপুর এলাকা থেকে দুটি মোটরসাইকেলে চড়ে শহরে ফিরছিল। শিবরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে ওই গ্রামের সোহেল তাদের মোটরসাইকেল থামায়। এ সময় সোহেল ধারালো ছুরি দিয়ে লিসানের বুকে ও পেটে উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে বাধা দিতে গিয়ে লিসানের মোটরসাইকেলে থাকা বন্ধু দীপুও গুরুতর আহত হয়। ঘটনার পরপরই তাদের মাগুরার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বেলা দেড়টার দিকে লিসানের মৃত্যু হয়। আহত দীপু বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 


লিসানুরের বাবা রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন,‘আমার ছেলে লেখাপড়া ও খেলাধুলা নিয়েই থাকত। ওর সাথে কারও কোনো বিরোধ ছিল বলে আমার জানা নেই।’

এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যাকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঘটনার পরপর পুলিশের সব কটি ইউনিটকে সক্রিয় করা হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করতে শহর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রতিটি পয়েন্ট সিল করে দেওয়া হয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই তাকে আটক করা সম্ভব হবে। আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

জেলায় সাত দিনে তিন হত্যাকাণ্ড
লিসানুরের ঘটনা নিয়ে এই জেলায় গত সাত দিনে তিনজন হত্যার শিকার হলো। এর আগে ১ জুলাই রাতে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় ইমন হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। এর পরদিন সদর উপজেলার কুকিলা গ্রামে আল আমিন নামে অপর এক কিশোরকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।