ছাত্রীনিবাসে স্কুলছাত্রীর মৃত্যুতে বাবার মামলা, গ্রেপ্তার ৩

আনুশকা হায়াত বন্ধন। ছবি: সংগৃহীত
আনুশকা হায়াত বন্ধন। ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরে ফৌজিয়া-মতিন পাবলিক স্কুলের ছাত্রীনিবাসে স্কুলছাত্রী আনুশকা হায়াত বন্ধনের (১৪) মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে আনুশকার বাবা আনোয়ার জাহিদ বাবুল বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেছেন।

মামলায় স্কুলের অধ্যক্ষসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পরপরই পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফৌজিয়া-মতিন পাবলিক স্কুলের অধ্যক্ষ আবু তাহা সাদী (৫২), তাঁর স্ত্রী নাজরীন মোস্তারী (৪২) ও সাদীর ছোট ভাই শিবলি নোমান (৪০)। তাঁরা শেরপুর শহরের সজবরখিলা এলাকার বাসিন্দা। রোববার বিকেলে শেরপুরের বিচারিক হাকিম মো. শরীফুল ইসলাম খানের নির্দেশে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন রোববার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় আনুশকার বাবা জাহিদ অভিযোগ করেছেন, আসামিরা সবাই পরিকল্পনা করে তাঁর মেয়েকে হত্যা করেন। পরে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য আনুশকার লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন। ওসি বলেন, কী কারণে ও কেন আনুশকাকে হত্যা করা হয়েছে, সেই বিষয়ে জাহিদ মামলায় কোনো কিছু উল্লেখ করেননি।

ওসি মামুন আরও বলেন, মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ তদন্ত ও মৃত্যুরহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে। কক্ষ থেকে জব্দ করা আনুশকার ডায়েরিটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তাঁরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে তা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।