নড়াইলের দায়রা জজকে কারণ দর্শাতে বললেন হাইকোর্ট

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নড়াইলের এক বিচারকের বিচারিক ক্ষমতা কেন প্রত্যাহার করা হবে না—এ বিষয়ে কারণ দর্শাতে বলেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে নড়াইলের ওই দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়েছে। নড়াইলের কালিয়া থানায় করা একটি হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের সময় এজাহারে থাকা প্রধান আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রেক্ষাপটে এ আদেশ দেওয়া হয়।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন।

নড়াইলের ওই আদালত গত ১০ জুন অভিযোগ গঠনের সময় অভিযোগপত্রে থাকা আসামি মাঝহারুল ইসলাম ওরফে মাঝাকে অব্যাহতি দিয়ে আদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন মামলার বাদী। এর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মাঝহারুল ইসলাম ওরফে মাঝা নামের ওই ব্যক্তিকে অব্যাহতি দিয়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন। অবিলম্বে মাঝহারুল ইসলাম মাঝাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

হাইকোর্টে আবেদনকারী ওই হত্যা মামলার বাদী নাজমুল হুদা। আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল আলিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুসরাত জাহান। আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগ গঠনের সময় মাঝাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে গত ১০ জুন বিচারিক আদালতের দেওয়া আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আইনজীবী সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের কালিয়ার চন্ডিনগর সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সামনে বিএল কলেজের মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী এনামুল শেখকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় মাঝহারুল ইসলাম ওরফে মাঝাসহ ৬৭ আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞতানামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে পরদিন কালিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই নাজমুল হুদা। মাঝাসহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে অভিযোগপত্র দেয় তদন্ত কর্মকর্তা। ওই মামলায় গত বছরের ২৯ জানুয়ারি বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন মাঝা। পরে চলতি বছরের ১০ জুন ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়, তবে মাঝাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে ২৭ জুন হাইকোর্টে আবেদন করেন বাদী। এর শুনানি নিয়ে ওই আদেশ দেওয়া হয়।